মূলভাব : জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও সহনশীলতা নিয়ে এগিয়ে চললে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবন কুসুমাস্তীর্ণ হয়ে উঠে।
সম্প্রসারিত ভাব : হঠাৎ করে বা অনায়াসেই কারাে জীবনে সাফল্য আসে না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, বাধা-বিপত্তি আর দুঃখ-কষ্ট পেরিয়ে মানুষ সাফল্যের স্বর্ণশিখরে সমাসীন হয়। দীর্ঘদিন ধরে অসীম ধৈর্য আর তিলে তিলে গড়া কর্মফলের প্রতিদানই সাফল্য। জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রধান অস্ত্র হলাে ধৈর্য। ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়েই মানুষকে কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হয়। জীবনে চলার পথে বাধা বিপত্তি আসবে এটাই স্বাভাবিক এবং এটাই জীবনের ধর্ম। কিন্তু তাই বলে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। হাত গুটিয়ে বসে থেকে শুধু যন্ত্রণাকে মেনে নেওয়ার মধ্যে কোনাে কৃতিত্ব নেই। ঘাতপ্রতিঘাত আর যন্ত্রণার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে দাঁড়ানাের মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। প্রতিটি মহামানবের জীবন পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, তারা কোনাে বাধা-বিপত্তিতেই ভেঙ্গে পড়েননি বরং অসীম ধৈর্য আর সাহসিকতা নিয়ে অপেক্ষা করেছেন। সুতরাং সবুর করা অর্থাৎ ধৈর্য ধারণের মধ্য দিয়ে মানুষ ধীরে ধীরে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হয়।
মন্তব্য : ধৈর্যধারণ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। কিন্তু নিষ্ঠার সাথে এ মহান মানবিক গুণকে আয়ত্ত করতে পারলে একদিকে জীবনে যেমন সাফল্য আসে, অন্যদিকে তার দ্বারা দেশ ও জাতি অনেক উপকৃত হয়।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
