ইসলাম ও জীবন

আঙ্গুলের ছাপ স্বতন্ত্র: এ বিষয়ে আল-কুরআনের সাথে আধুনিক বিজ্ঞান কী একমত?

Rate this post

বর্তমান সময়ের আধুনিক বিজ্ঞান এতটাই উন্নত হয়েছে যে তারা মানুষের আগুলের ছাপের মাধ্যমে  নির্দিষ্ট মানুষকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে আল-কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান আসলে কী বলে?

মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ

মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড়গুলােকে সংযােজন করতে পারব না? প্রকৃতপক্ষে আমি তার আঙ্গুলের অগ্রভাগ পর্যন্ত যথাযথভাবে সুবিন্যস্ত করতে সক্ষম।” (সূরা আল-ক্বিয়ামাহ‌: ৭৫, আয়াত – ৩-৪)

মৃত ব্যক্তির অস্থি পঞ্জর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে মাটির সাথে মিশে যাওয়ার পর পুনরুত্থান ঘটার ও বিচার দিবসে কিভাবে প্রত্যেককে সনাক্ত করা সম্ভব হবে এ ব্যাপারে অবিশ্বাসীগণ বিতর্ক করে থাকে। এ প্রশ্নের উত্তর সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। তিনি কেবলমাত্র অস্থি-পঞ্জরকেই শুধু সংযােজিত করবেন না বরং আমাদের আঙ্গুলের রেখাসমূহকেও (আঙ্গুলের ছাপকে) তিনি নিখুঁতভাবে পুনরায় তৈরী করবেন। ব্যক্তি পরিচয় স্থিরকরনের বিষয় বলতে গিয়ে কেন কুরআন সুনির্দিষ্টভাবে আঙ্গুলের অগ্রভাগের কথা বলল?

আঙ্গুলের ছাপ স্বতন্ত্র: এ বিষয়ে আল-কুরআনের সাথে আধুনিক বিজ্ঞান কী একমত?
ছবি সূত্রঃ iStock

স্যার ফ্রান্সিস গােল্ট (Sir Francis Golt) এর গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে, ১৮৮০ সনে (মানুষ) সনাক্তকরণে আঙ্গুলের ছাপকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করা হয়। সারা বিশ্বে এমন দু’জন ব্যক্তি নেই যাদের আঙ্গুলের ছাপের ধরন হুবহু একই। এমনকি একই রকমের যমজ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হয় না। এ কারণে বিশ্বব্যাপী সকল পুলিশ বাহিনী অপরাধী সনাক্তকরণে আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে থাকে। 

১৪০০ বছর পূর্বে প্রত্যেক ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের স্বতন্ত্র তা কে জানত? অবশ্যই স্বয়ং স্রষ্টা ব্যতীত আর কেউই জানত না।

 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

এলাকায় অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন

Rate this post
এলাকায় অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন
এলাকায় অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন

তোমার এলাকায় অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলা সম্পর্কে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

পাবনায় গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ থেকে সপ্তাহব্যাপী গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হলাে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ চত্বরে। বিশাল মাঠের সবুজ ঘাসের উপর নানা আকারের ৪০টি স্টল চমৎকার দৃশ্যের অবতারণা করেছিল । লােকমুখে প্রকাশ, ইতঃপূর্বে পাবনা শহরে এত বড় বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিজান উদ্দিন। তিনি উদ্বোধনী ভাষণে বইপড়ার প্রয়ােজনীয়তা এবং সেক্ষেত্রে এ জাতীয় গ্রন্থমেলার উপযােগিতা চমৎকার ভাষায় বর্ণনা করেন।

মেলার বাড়তি আকর্ষণ ছিল ভারতীয়, আমেরিকান ও রাশিয়ান দূতাবাস কর্তৃক আয়ােজিত বর্ণাঢ্য স্টলগুলাে। আগ্রহী দর্শক পাঠকের কাছে এগুলাে ছিল বাড়তি পাওনা। গ্রন্থমেলাটিকে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ করে তােলার জন্য আয়ােজকবৃন্দের আন্তরিকতার অভাব ছিল না। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্টলগুলাে খােলা ছিল। বাংলা একাডেমি, মুক্তধারা, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বুক পয়েন্ট, পল্লব ব্রাদার্স, ইউনিভার্সিটি বুক কর্ণার প্রভৃতি সংস্থার স্টলগুলােতে দর্শক-পাঠকের সমাগম বেশি ছিল। বয়স্কদের চেয়ে তরুণদের মধ্যেই বই সম্পর্কে আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে বেশি। এটি জাতির জন্য নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও উদ্দীপনামূলক লক্ষণ বলে বিবেচিত হবে। লক্ষ করা গেছে, উপন্যাস ও গল্পের বই বিক্রি হয়েছে বেশি। কবিতার বই বিক্রি হলেও প্রবন্ধ বা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে রচিত বইগুলাের বিক্রি সংখ্যা নিতান্তই কম। বাঙালির কাব্যপ্রীতি বিশ্বনন্দিত, কিন্তু এবারের এই মেলা সে প্রমাণ রাখতে পারেনি।

মেলা চলাকালীন তিনদিন তিনটি আলােচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭, ১৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে উপন্যাস, ছােটগল্প ও কবিতার উপর । আলােচনাসভায় দেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক-কবিগণ অংশগ্রহণ করেন। উপন্যাস বিষয়ে মূলবক্তা ছিলেন জুলফিকার মতিন, ছােটগল্পে হাসান আজিজুল হক এবং কবিতায় রফিক আজাদ। নাটক ও প্রবন্ধ সম্বন্ধে এরকম উদ্যোগ কেন গৃহীত হয়নি সে ব্যাপারে উদ্যোক্তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। যাই হােক, প্রত্যেক আলােচক স্ব-স্ব বিষয়ে অত্যন্ত মনােগ্রাহী আলােচনা করেন। সাহিত্য-বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলােচনা শুনে দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ নিজেদের উন্নত সাংস্কৃতিক রুচির স্বাক্ষর রেখেছেন।

সমাপনী সন্ধ্যাটি ছিল মনােমুগ্ধকর। স্থানীয় শিল্পীগণ কর্তৃক আয়ােজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকল স্তরের মানুষকে আনন্দ দিয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রেষ্ঠ স্টলের পুরস্কারটি বুক পয়েন্টের পরিচালক এম.এ. মুসা খানের হাতে তুলে দেন বিশিষ্ট কবি ও কথাশিল্পী সৈয়দ শামসুল হক। সুন্দর স্টল সাজানাের জন্য বিশেষ পুরস্কার পায় স্থানীয় কিশােরদের পরিচালিত একটি ক্ষুদ্র স্টল ‘অঙ্কুর’। সভাপতি রাজশাহী বাের্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল হায়াত যখন গ্রন্থমেলার সমাপ্তি ঘােষণা করলেন তখন শ্রোতা-দর্শকবৃন্দ পেয়ে হারানাের বেদনায় ব্যথিত চিত্তে ঘরে ফিরতে শুরু করলেন।

প্রতিবেদকঃ
রাহাত উল্লাহ্‌

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

ইসলাম ও জীবন

কেমন ছিল প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

Rate this post

কেমন ছিল প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা
ছবি সূত্রঃ iStockphoto

 

এর আগের আমরা প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের সামাজিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজ আমরা প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করব। ইনশাআল্লাহ্‌। 

প্রাক-ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

কেন্দ্রীয় শাসনের অভাব

অজ্ঞতার যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থাও ছিল নানা দিক থেকে খুবই নৈরাশ্যজনক ও চরম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। আরবে কোন কেন্দ্রীয় শাসন না থাকায় তৎকালীন সাম্রাজ্যবাদী দুই পরাশক্তি রােমান ও পারস্যের লােলুপ দৃষ্টির শিকার ছিল। উত্তর আরব রােমানদের এবং দক্ষিণ আরব ছিল পারসিকদের কর্তৃত্ব বলয়ে। আবিসিনীয় আগ্রাসন দৃষ্টিও আরবকে সদা শঙ্কিত করে রাখতাে। ইয়ামেনের দখলদার আবিসিনীয় খ্রিস্টান শাসক আবরাহার বিশাল হস্তিবাহিনী নিয়ে পবিত্র কাবা শরীফ আক্রমণ এর প্রমাণ বহন করে।

গােত্ৰতান্ত্রিক শাসন 

প্রাচীন গােত্ৰতান্ত্রিক শাসনই ছিল আরবদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিমূল। তাদের গােত্রপ্রীতি ও বন্ধন ছিল সুদৃঢ়। প্রত্যেক গােত্রে একজন গােত্রপতি বা শাইখ নির্বাচিত হতেন। প্রার্থীর বংশ গৌরব, মহানুভবতা, বীরত্ব, বিচার-বুদ্ধি, বয়স, পদমর্যাদা ও আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে অগ্রসরতার দিক বিবেচনা করে গণতান্ত্রিকভাবে ‘শাইখ’ নির্বাচিত হতেন। গােত্রপতির প্রতি আনুগত্য ছিল অপরিহার্য। গােত্রীয় শাসনে কোন সুনির্দিষ্ট বিধান ছিল না। গােত্রপতিদের পরামর্শ সভার (মালা) মতানুসারে শাসন, বিচার, যুদ্ধ ও অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন করতেন। সাধারণ সমস্যাগুলাে “দারুন্ নাদওয়ার” সভায় আলােচনার মাধ্যমে সমাধান করা হত। 

কা’বা শরীফের কারণে মক্কানগর ও নগরবাসী-কুরাইশদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এ কারণে কুরাইশ গােত্রের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা এবং পার্শ্ববর্তী আরাে কিছু গােত্রের মধ্যে একটি মৈত্রী-জোট বা গোত্র কমনওয়েলথের রূপ লাভ করে। এ জোটের নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি আন্তঃগােত্রীয় শাসন ব্যবস্থাও গড়ে ওঠে।

গােত্রীয় দ্বন্দ্ব-কলহ

এ সময়ে কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা না থাকায় গােত্রে গোত্রে দ্বন্দ্ব-কলহ এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। গােত্রের মান-সন্ত্রম ও স্বার্থ রক্ষার জন্য সদস্যগণ জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিত। এ গােত্র-কলহ ও বিসংবাদ কখনাে বংশানুক্রমিকভাবে চলত। “খুনের বদলে খুন” (Blood for Blood) এ ধারায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ত বছরের পর বছর। গােত্রে গােত্রে যুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলােকে “আইয়ামুল আরব” (Ayam al Arab) বলা হত।” ঐতিহাসিক গীবনের মতে “অন্ধকার যুগে আরবে গােত্রীয় দ্বন্দ্বের কারণে ১৭০০ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। বুয়াসের যুদ্ধ, ফিজারের যুদ্ধ, বসুসের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে ছিল উল্লেখযােগ্য। উটকে পানি খাওয়ানাের সামান্য ঘটনা কেন্দ্র করে বনু বকর ও বনু গলিব গােত্রের মধ্যে সুদীর্ঘ ৪০ বছর ব্যাপী যুদ্ধ চলে ছিল।

রাজনৈতিক ঐক্য ছিল না

আরবে কোন কেন্দ্রীয় শাসন ছিল না। তাই সেখানে কোন সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু হয়নি। রাজনৈতিক ঐক্য বলতেও কিছু ছিল না। গােটা আরব ছিল শতধা বিভক্ত। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, অনৈক্য, অস্থিরতা, নৈরাজ্য, সন্ত্রাসবাদ ছিল তাদের রাজনৈতিক জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। “জোর যার মুল্লুক তার”– এ ছিল তাদের রাজনৈতিক দর্শন।

মক্কার নগররাষ্ট্র

ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক গুরুত্বের কারণে মক্কা নগরে প্রাগ্রসর রাজনীতির উন্মেষ ও নগররাষ্ট্রের সূচনা হয়। কুরাইশ গােত্রপতিদের সমন্বয়ে গঠিত মালা বা মন্ত্রণা পরিষদ নামে গঠিত একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ নগর-রাষ্ট্রের প্রশাসন ব্যবস্থা পরিচালনা ও তদারক করা হত। বিভিন্ন গােত্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বেদুঈনদের সাথে মৈত্রীজোট গঠন করাও এ পরিষদের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইসলাম পূর্ব যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই নৈরাশ্যজনক ও বিশৃঙ্খলা পূর্ণ। কেন্দ্রিয় সরকারের অভাবে গােত্রপ্রধান স্ব স্ব গােত্রকে শাসন করত। আরবদের মধ্যে ঐক্য, সভ্রাব ও সম্প্রীতি ছিল না। কেন্দ্রিয় শাসনের অভাবে আন্তঃ গােত্রীয় কলহ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। জোর যার মুলুক তার নীতি সর্বত্র বিরাজমান ছিল। তাই সুষ্ঠু  রাজনৈতিক নিয়ম-নীতি গড়ে উঠতে পারেনি।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

বাংলা ব্যাকরণ

বাংলা বানানের বিভিন্ন নিয়ম (পর্ব ১)

Rate this post
বাংলা বানানের বিভিন্ন নিয়ম (পর্ব ১)

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকের লিখাটি তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আজকে বাংলা বানানের বিভিন্ন নিয়ম, বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম এবং ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধানের বিভিন্ন নিয়ম ও প্রয়ােগবিধি সম্পর্কে জানতে পারবে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যে-কোনাে বানান শুদ্ধভাবে লিখতে ও প্রয়ােগ করতে পারবে। এবং বানান ভিন্নতার স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে পারবে।

বাংলা বানান সমস্যা ও বানান সংস্কার

বাংলা ভাষায় কয়েকটি স্বরধ্বনির একাধিক কারচিহ্ন এবং কয়েকটি অতিরিক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি থাকায় এবং বাংলা ভাষার লৈখিক রীতি ধ্বনি বা উচ্চারণভিত্তিক না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ ভাষার বানান রীতিতে বিশৃঙ্খলা বিদ্যমান। যেমন- বাংলা ভাষায় ‘ই’ (i) এবং ‘উ’ (U) ধ্বনি একটি হলেও এদের কার চিহ্ন দুটি করে। একটি হ্রস্ব-ই (ি) কার ও হ্রস্ব-উ (ু) কার এবং অপরটি দীর্ঘ-ঈ(ী) কার ও দীর্ঘ-উ (ূ) কার। ঋ-ধ্বনি না হলেও এটি কার চিহ্ন হিসেবে বিদ্যমান। 

এছাড়াও আছে অনেকগুলাে অতিরিক্ত ব্যঞ্জন ও যুক্তব্যঞ্জন। বাংলা ভাষা দীর্ঘদিন সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুশাসনাধীন হওয়ায় তার অনিবার্য প্রভাব পড়ে এ ভাষায়। তুর্কি বিজয়ের (১২০৪ খ্রি.) পর বাংলা ভাষায় প্রচুর আরবি-ফারসি শব্দের আগমন ঘটে। আঠারাে উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক শাসনের সূত্র ধরে এ ভাষায় প্রচুর বিদেশি শব্দের আত্মীকরণ ঘটে। একদিকে তৎসম ও তৎসমজাত এবং অন্যদিকে প্রচুর বিদেশি শব্দের সংমিশ্রণে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হলেও এর ফলস্বরূপ এ ভাষার লৈখিক রূপের বানানে বিশৃঙ্খলা প্রকট আকার ধারণ করে। যে যার মতাে করে একই শব্দের একাধিক বানান লিখতে থাকেন। যেমন- ‘দিঘি’ শব্দের বানান রূপই চারটি-দিঘী, দিঘি, দীঘি, দীঘী। এ রকম হাজারাে শব্দের একাধিক বানান রূপ রয়েছে বাংলা ভাষায়। এখন প্রত্যেকেই যদি ‘দিঘি’ শব্দের একাধিক রূপে যে যার মতাে করে বানান লিখতে থাকেন তাহলে, ভবিষ্যতে বাংলা ভাষার লৈখিক রূপে বিশৃঙ্খলা আরাে বৃদ্ধি পাবে। তাই একটি বিজ্ঞাননির্ভর ভাষিক শৃঙ্খলার জন্যে ভাষাবিজ্ঞানীরা বাংলা ভাষার বানান সংস্কারের প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করেন। 

উনিশ শতকে এ কাজটি শুরু করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মুহম্মদ এনামুল হক, মুনীর চৌধুরী প্রমুখ ভাষাবিজ্ঞানী এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক বাের্ড, বাংলা একাডেমি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় বাংলা বানান সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বাংলা বানানে সাধারণত হ্রস্ব-ই, দীর্ঘ-ঈ, হ্রস্ব-উ, দীর্ঘ-উ, মূর্ধন্য-ণ, দন্ত্য-ন, উয়ো-ঙ, অনুস্বার-ং, ব-য়ে বিন্দু-র, ড-য়ে বিন্দু-ড়, ঢ-য়ে বিন্দু-ঢ়, তালব্য-শ, মূর্ধন্য-ষ, দন্ত্য-স, বিসর্গ-ঃ, রেফ, যুক্তবর্ণ-ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে। এগুলাে কোথায়, কীভাবে প্রযুক্ত হয় সে সম্পকির্ত কিছু নিয়মকানুন জানা থাকলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হওয়ায় এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সকল স্তরে বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানান নির্দেশিকা অনুসৃত হওয়ায় সেই আলােকে নীচে বাংলা বানানের নিয়মগুলাে প্রদত্ত হলাে :
(১) হ্রস্ব – ই ( ি) কারের নিয়ম
(২) দীর্ঘ – ঈ (ী) কারের নিয়ম
(৩) হ্রস্ব-উ (ু) কারের নিয়ম
(৪) দীর্ঘ-উ (ূ) কারের নিয়ম
(৫) উয়ো-(ঙ), অনুস্বার(-ং) এর নিয়ম
(৬) বিসর্গ-ঃ এর ব্যবহার
(৭) চন্দ্রদিন্দু  ঁ এর ব্যবহার
(৮) বর্গীয় – জ ও অন্তঃস্থ – য এর ব্যবহার
(৯) র, ড়, ঢ় এর ব্যবহার
(১০) মূর্ধণ্য – ণ ও দন্ত্য-ন এর ব্যবহার
 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

স্কুলের জমি দখল করে মন্দিরের ঘর তুলছে প্রধান শিক্ষক

Rate this post

অনলাইন নিউজ, ০৩ অক্টোবর ২০২১ 

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেকর্ডীয় জমি দখল করে মন্দিরের ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

স্কুলের জমি দখল করে মন্দিরের ঘর তুলছে প্রধান শিক্ষক

একটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রেখাখালী সূতারখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডিও জমি দখল করে ওই এলাকার আর একটি স্কুল “চরণী পত্তাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” প্রধান শিক্ষক পরিতোষ মণ্ডল, দিনেশ, অশুতোষ, কমল ও শংকর শিয়ালীসহ ১০ থেকে ১২ জনের নেতৃত্বে বালু ভরাট করে বাঁশ খুটি দিয়ে ঘর উত্তোলন করে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. গৌতম হালদার ও প্রধান শিক্ষক শম্পা বর্মণ এতে বাঁধা দিলে দখলকারীরা তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সম্পা বর্মণ জানান, এই জমি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বিদ্যালয় নামে রেকর্ড ও বিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্থানীয় কিছু লোক ওই জমি দখল করার জন্য বালু ভরাট দিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করছে। আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ডা. গৌতম হালদার জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আমাদের বিদ্যালয়ের সাইক্লোন সেল্টার কাম স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্থর করেন। স্কুলের নামীও জমিতেই স্থানীয় কিছু লোক ভবনের নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করে ওই জায়গায় মন্দির নির্মাণের জন্য ঘর তৈরি করেন।

বিদ্যালয়ের জমি দখলকারী প্রধান শিক্ষক পরিতোষ মণ্ডল ও দিনেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, জমিটি আমাদের ব্যক্তিগত কাজে নয়। সেখানে মন্দির স্থাপন করতে ঘর তৈরি করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের জমি দখলের অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেছা খানম জানান, বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?

Rate this post

 ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে

রুমির বাবা একজন কৃষি বিজ্ঞানী। তিনি মিষ্টি ও উচ্চ ফলনশীল আমের একটি জাত উদ্ভাবন করেন যা বারি-৪ নামে মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এই অবদানের জন্য তাকে রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান করে সম্মানিত করেন।রুমির বাবার এমন সম্মান প্রাপ্তির পিছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো তার মনে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সে ব্যাপারে তোমার সুচিন্তিত মতামত উল্লেখ করো –

১. ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে?

২. কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

৩. ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান(BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

৪. কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?

৫. এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে?

প্রশ্ন ৪ এর উত্তরঃ

কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও নানা ধরনের ফুল, ফল, শাকসবজি , মুরগি, গরু, মাছ ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন। এগুলাের সাথে সংকরায়ণ করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন, যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। উৎপাদন বৈচিত্র্য বাড়ছে। সেই সাথে প্রতিযােগিতাও বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে পুঁজির ব্যবহার । মাছ, মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌছে গেছে। শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের চাহিদা গ্রামীণ জনজীবনে দ্রুতই বেড়ে চলেছে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

সারমর্ম

সারমর্ম : তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর, ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর

Rate this post

সারমর্ম : তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর, ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর

সারমর্ম

তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর,

ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর। 

বিদায়ের কালে হাতে ডাল ভেঙে লয়, 

তরু তবু অকাতর কিছু নাহি কয়। 

কয়ে দুর্লভ মানবজন্ম পেয়েছ যখন, 

তরুর আদর্শ কর জীবনে গ্রহণ। 

পরার্থে আপন সুখ দিয়ে বিসর্জন, 

তুমিও হও গাে ধন্য তরুর মতােন।

সারমর্ম ঃ গাছপালা ছায়া, ফুল, ফল, ডালপালা, কাঠ এসব দিয়ে মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। পরােপকার করেই বৃক্ষের জীবন ধন্য। মানুষেরও বৃক্ষের পরােপকারের আদর্শকে জীবনে ধারণ করা উচিত। তবেই মানবজীবন ধন্য ও সার্থক হবে।

অন্যভাবে লিখা যায়ঃ

অপরের কল্যাণে নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই মানব জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। মহৎ হৃদয়ের অধিকারীরা পরের জন্য জীবনের সবকিছু বিলিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না। তরুলতা ও গাছপালার দিকে তাকালে এ সত্যটি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। তাই মানুষেরও উচিত এ আদর্শ অনুসরণ করে পরার্থে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। 

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান গুলো কী কী?

Rate this post
মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান গুলো কী কী?



মুরগি পালনে, মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যতম প্রধান বিষয়। বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝরা শস্য, পোকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই এরা পরিমিত সুষম খাবার পায় না। তাই মুরগির পরিমিত সুষম খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টি উপাদানগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১. শর্করাঃ শর্করা মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি পুষ্টি উপাদান। তাই মুরগিকে শর্করা জাতীয় খাবার যেমনঃ গম, ভুট্টা, চালের খুদ, চালের কুড়া, গমের ভুষি ইত্যাদি খাওয়ানো প্রয়োজন।

২. পানিঃ মুরগি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করে। তাই মুরগির খামারে পানীয় ব্যবস্থা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশুদ্ধ পানি মুরগিকে খাওয়াতে হবে।

৩. আমিষঃ মুরগির পর্যাপ্ত শর্করা খাবারের পাশাপাশি আমিষ জাতীয় খাবার যেমনঃ সয়াবিন মিল, তিলের খৈল,  সরিষার খৈল, শুটকি মাছের গুড়া প্রভৃতি খাওয়াতে হবে। 

৪. ভিটামিনঃ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ও শাকসবজি মুরগির দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুরগিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।

৫. খনিজঃ খনিজ লবণ মুরগির দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মুরগিকে খনিজজাতিয় খাবার যেমনঃ খাদ্য লবণ, হাড়ের গুঁড়া, ঝিনুক ও শামুকের গুঁড়া খাওয়াতে হবে।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.
Back to top button