রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (Rudra Mohammad Shahidullah) একজন কবি ও গীতিকার ১৯৫৬ সালে ১৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি নাম খ্যাত ছিলেন। তিনি আশির দশকের যেকজন বিখ্যাত কবি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
বর্তমান তরুন সমাজের কাছে উনার রেখে যাওয়া উক্তিগুলো বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তেমন কিছু উক্তি নিয়ে আজ আমাদের পর্ব ৬
(১)
তবু তুমি বলছো না – সে তোমার কেউ নয়, প্রজাপতি,
অথবা পাখি সে, দুদন্ড জড়িয়ে গেছে জীবনের ডালে।
তোমার শাখায় বসে দেখেছে সে অন্য ফুল, উজ্জ্বল অধিক,
প্রজাপতি উড়ে যাবে বিচিত্র বিভিন্ন ফুলে সে তো স্বাভাবিক।
(২)
ভুল ভেঙ্গে গেলে ডাক দিও,
আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন
ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয়নাম
ভালোবাসা।
(৩)
জানি না কখন এইসব স্মৃতি, এসব দৃশ্য
ছায়ার মতোন বেঁধেছি শরীরে বকুলের লাশ!
জেগে দেখি চাঁদ ক্লান্ত দুচোখে মাখে রাত্রির গোপন কাজল
কুয়াশার জল।
(৪)
কোথাও সুস্থতা নেই।
এ সময়ে শোষণের সুশোভন নামই সুস্থতা –
তুমি সেই সুস্থতার নির্বোধ প্রতিক।
(৫)
আমি যার শিয়রে রোদ্দুর এনে দেবো বলে কথা দিয়েছিলাম
সে আঁধার ভালোবেসে রাত্রি হয়েছে ।
এখন তার কৃষ্ণ পক্ষে ইচ্ছের মেঘ
জোনাকির আলোতে স্নান করে,
অথচ আমি তাকে তাজা রোদ্দুর দিতে চেয়েছিলাম ।
(৬)
কিছু দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে থাকবে বুকে
কিছু অশ্রু থেমে থাকবে চোখের নিকটে
ঝরাবে না শিশির।
(৭)
রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে আছে।
(৮)
কিছুই অসাধ্য নয় আজ
আমি সবকিছুই দিতে পারি
বলো কী কী নেবে তুমি?
(৯)
তুমি প্রেমের কলিংবেল টিপে এসে দাঁড়ালে
সংশয় সন্দিহান
আমি দরোজা খুলেই সরাসরি
তোমাকে এনে বসিয়েছি হৃদয়ে।
বুকের একান্ত বেডরুমে।
(১০)
আত্মগত আমি আবার
নিজের কাছে প্রশ্ন করি
নিঃশব্দের এমন রাতে বুকের মাঝে
শব্দ কেন?
(১১)
দুচোখ বেয়ে রাত্রি ঝরে, পাংশুটে রাত,
রক্তমাখা চাঁদের দেহে জোস্না উধাও,
উল্টে পড়ে রোদের বাটি,
আমার এখন আকাশ জুড়ে দুঃস্বপ্নের দালানকোঠা।
(১২)
ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায়,
যার কাছে ঋনী হয়ে শিখেছি নির্ঘুম রাতের সুখ
তার সাথেই একরাত পাশাপাশি কাটাবো গভীর ঘুমে।
(১৩)
কথা ছিলো, শিশু হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পদের নাম।
নদীর চুলের রেখা ধ’রে হেঁটে হেঁটে যাবে এক মগ্ন ভগীরথ,
কথা ছিলো, কথা ছিলো আঙুর ছোঁবো না কোনোদিন।
(১৪)
ওর হাতে ফুলগুলো তুলে দিয়ে বললাম
‘তুমিও কি ফুল হয়ে ঝ’রে যাবে?’
(১৫)
বাইরে এবং বুকের মধ্যে
হিয়ার ভেতর…হিয়ার মধ্যে
হারানো এক হলদে পাখি উড়ছে বসছে
দুলছে, যেন শৈশবে সেই দোলনা খেলা…
হায়রে আমার বয়স হয় না!
(১৬)
কথা ছিলো, ভাষার কসম খেয়ে আমরা দাঁড়াবো ঘিরে
আমাদের মাতৃভূমি, জল, অরন্য, জমিন, আমাদের
পাহাড় ও সমুদ্রের আদিগন্ত উপকূল-
আজন্ম এ জলাভূমি খুঁজে পাবে প্রকৃত সীমানা তার।
(১৭)
দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা
বুঝতে কেন পাছো না ছাই
মানুষ আমি, যন্ত্র না!
(১৮)
তুমিই শুধু ভালোবাসা রাখতে গিয়ে
ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে অসাবধানে
ভালোবাসা ছড়িয়ে ফেললে চতুর্দিকে…
(১৯)
থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক
(২০)
তুমি রেশমী হাতে বুলোতে পরশ
রাত্রি নিশ্চুপ হেঁটে যেতো শরীর বেয়ে।
(২১)
আমার কিছু কথা ছিলো কিছু দুঃখ ছিলো
আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে ।
(২২)
একটা ঠিকানা চাই।
যেই ঠিকানায় সপ্তাহ শেষে একটি করে চিঠি দিব…….
প্রেম-প্রেম, আবেগে ঠাসা, ভালোবাসায় টইটুম্বুর!
হবে একটা ঠিকানা?
কারনে অকারনে চিঠি দিব…
(২৩)
তোমাকে প্রতিদিন লেখার মতো
অনেক রকম খবর আছে।
(২৪)
তবু পৃথিবীতে রাত নামে নিবিড় তুষারের মতো,
তুমি শুধু উড়ে চলো ক্লান্তিহীন, তন্দ্রাহীন
অন্য এক সকালের দিকে।
(২৫)
এতোটা নিশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি….
আরো কতো শব্দহীন হাঁটবে তুমি, আরো কতো নিভৃত চরনে
আমি কি কিছুই শুনবো না- আমি কি কিছুই জানবো না!
(২৬)
যে রাত ‘পাশাপশি বসিবার বনলতা সেন’
সে রাত আমার নয়, সে রাত অন্য কারো।
(২৭)
আমি কবি নই – শব্দ শ্রমিক।
শব্দের লাল হাতুড়ি পেটাই ভুল বোধে ভুল চেতনায়,
হৃদয়ের কালো বেদনায়।
(২৮)
যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট।
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ উক্তি – বাণী
পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ | পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬
স্যার আপনাদের পাশেই আছি।আমাদের পড়াশোনায় হেল্প করতে থাকেন।আর ৩০ দিনের যেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে,সেখান থেকে সকল গুরুত্বপূর্ণ পড়াগুলো পড়ান।আর পারলে ক্লাসও করান।