বিজয় মেলা || অনুচ্ছেদ
বিজয় মেলা অনুচ্ছেদ
স্বাধীনতা হীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। সবাই চায় পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত জীবনযাপন করতে। বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়-রবি। দীর্ঘ নয় মাসের সংগ্রামের সমাপ্তি ঘটেছিল এ দিনটিতে। বাংলার মাটি শত্রু মুক্ত হয়ে এক নবযুগের সূচনা করেছিল। বাঙালির জাতীয় জীবনে ১৬ই ডিসেম্বর এক অবিস্মরণীয় ও গৌরবজনক দিন। ‘বিজয় দিবস’ আমাদের আত্মমর্যাদার ও আমাদের সার্বভৌমের প্রতীক।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে। এই বিজয়কে স্বরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে। সাধারনত এই মেলা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই মেলাকে বিজয় মেলা বলে।
আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় মেলা শুরু হয়ে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এ সময় আমাদের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ রঙিন কাগজ ও বাহারি কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জা হয়। এ সময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও কর্ণফুলী নামে চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। মেলা উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দোকান বসায়। খাবারের স্টল, জাতীয় পতাকা, মানচিত্র এবং বইয়ের দোকানগুলি সাধারণত ছাত্রদের দ্বারা দেওয়া হয়। বাইরে থেকে যারা দোকান নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে সাধারণত কসমেটিকসের দোকান বেশি থাকে।
খাবার দোকানগুলোতে ঘরের তৈরী বিভিন্ন শীতকালীন খাবার বিক্রয় করা হয়। বই এর দোকান গুলোতে বিভিন্ন প্রকারের বই থাকলেও গল্প, কবিতা, উপন্যাস এর বই বেশি বিক্রয় হয়। এই সময় সব চেয়ে বেশি বিক্রয় হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা, নৃত্য, অভিনয় ইত্যাদি অন্তভুক্ত থাকে। অনেকে দল বেঁধে মুক্তিযোদ্ধা সাজে এবং মুক্তিযুদ্ধের অভিনয় করে মঞ্চে উপস্থানপন করে। চার দলের জারীগানগুলো সবার নজর কাড়ে। কারণ জারীগান গুলো যেমনি শিক্ষামূলক তেমনি উপস্থাপনকারী শিল্পীরাও তেমন বাহারি পোষাকে সেজে মঞ্চে আসে। এই দিন বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেয়ালিকা প্রকাশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান অংশ। মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ থাকে নাগরদোলা। ছাত্র-ছাত্রীরা নাগরদোল খুব বেশি উপভোগ করে।
খাবারের স্টলে ঘরে তৈরি শীতের বিভিন্ন খাবার বিক্রি হয়। বইয়ের দোকানে নানা ধরনের বই থাকলেও বেশিরভাগই বিক্রি হয় গল্প, কবিতা, উপন্যাস। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে দেশাত্মবোধক গান, কবিতা, নৃত্য, অভিনয় ইত্যাদি। অনেকে মুক্তিযোদ্ধার পোশাকে দলবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চে অভিনয় করে। চার দলের জারীগানগুলো সবার নজর কাড়ে। কারণ জারিগান যেমন শিক্ষামূলক তেমনি উপস্থাপনা শিল্পীরাও অভিনব পোশাক পরে মঞ্চে আসেন। এদিন বিজয় দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান অংশ হল নাগরদোলা। মেলার অন্যতম আকর্ষণ নাগরদোলা। ছাত্র-ছাত্রীরা নাগরদোল খুব উপভোগ করে।
ভাই আপনার কারণে আমি এটি পেয়েছি