![]() |
ফাইল ছবি |
অনলাইন ডেস্ক – ৩০ আগস্ট, ২০২১
২৩ হাজার আসনের বিপরীতে প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। যা অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম।
করোনা পরিস্থিতে প্রথমবারের মতো সমন্বিত প্রক্রিয়ায় দেশের টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। কিন্তু আসন সংখ্যা বেশি থাকার পরও আবেদন সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।
গুচ্ছ পরীক্ষায় একটি আবেদন এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের অপশন বাছাইয়ের সুযোগ থকাছে। প্রথম ধাপের বিনা মূল্যে আবেদনের সুযোগ ছিল। যারা প্রথম ধাপের উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের জন্য প্রথমে ৬০০ টাকা ফি নির্ধারিত করে হলেও পরবর্তীতে আবেদন অনেক কম পড়ায় ফি দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১,২০০ টাকা করা হয়েছে।
শুধু ভর্তির ফি নয় সেই সাথে আবেদনের জিপিএ কমানো হয়েছিল। ভর্তি সার্কুলারে বিজ্ঞান শাখার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি তে নূন্যতম জিপিএ ৮.০০, বাণিজ্য শাখার জন্য নূন্যতম ৭.৫০ এবং মানবিক শাখার জন্য নূন্যতম ৭.০০ থাকার শর্ত ছিল।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবার এইচএসসি তে মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষার্থী। আর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন রয়েছে ২৩ হাজার। ২৩ হাজার আসনের বিপরীতে প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। যা অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৬ হাজার এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে মাত্র ২ লাখ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, “প্রাথমিক আবেদনে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আশা করেছিলাম ৭ থেকে ৮ লাখ আবেদন পড়বে। কিন্তু এত কম আবেদন পড়ায় আমরা বিস্মিত।”
ঠিক একই কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি বলেন “জিপিএ কমানোর ফলে আরো বেশি শিক্ষার্থী আবেদনের সুযোগ পাবে কিন্তু আবেদন অনেক কম পড়েছে। কেন এতো কম আবেদন তার কারণ আমরা জানি না”
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
