ইসলাম ও জীবন

বান্দার হকের মধ্যে সবার উপরে হল পিতা – মাতার হক। সন্তানের করনীয় কী

5/5 - (1 vote)

আল্লাহ্‌ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার দাসত্ব ও ইবাদত করার জন্য। পিতা–মাতার খেদমত করা  অন্যতম ইবাদত। মেরাজের রজনীতে আল্লাহপাক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নিকট যে চৌদ্দটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তার প্রথমটি হলো আল্লাহর সঙ্গে শরিক না করা ও দ্বিতীয় হলো পিতা–মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।

বান্দার হকের মধ্যে সবার উপরে হল পিতা–মাতার হক। সুতরাং পিতা-মাতার সাথে উত্তম আচরণ করাই তাদের হক আদায় করার শামিল। 

বান্দার হকের মধ্যে সবার উপরে হল পিতা - মাতার হক। সন্তানের করনীয় কী

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ۖ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا
আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর এবং নিকটাত্নীয়, এতীম-মিসকীন, প্রতিবেশী, অসহায় মুসাফির এবং নিজের দাস-দাসীর প্রতিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না দাম্ভিক-গর্বিতজনকে। (সূরা আন নিসা, আয়াত ৩৬)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,

পিতা–মাতা হলো তোমার জান্নাত এবং জাহান্নাম অর্থাৎ তুমি ইচ্ছা করলে তাদের খেদমত করে উত্তম আচরণের মাধ্যমে জান্নাত অর্জন করতে পারো; আবার ইচ্ছা করলে তাদের অবাধ্য হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করতে পারো।’ (ইবনে মাজাহ)।

মাতা-পিতার জন্য সন্তানের করণীয় তথা মাতা-পিতার অধিকার

১) যদি মাতা-পিতার প্রয়ােজন হয় এবং সন্তান তাঁদের ভরণ-পােষণ দিতে সক্ষম হয়, তাহলে মাতা-পিতার ভরণ-পােষণ দেয়া সন্তানের উপর ওয়াজিব। এমনকি পিতা-মাতা কাফের হলেও তাদের ভরণ-পোষণ দেয়া ওয়াজিব।

২) প্রয়ােজন হলে মাতা-পিতার খেদমত করা দায়িত্ব। খেদমত নিজে করতে পারলে করবে নতুবা খেদমতের জন্য লােকের ব্যবস্থা করা দায়িত্ব। উল্লেখ্য, খেদমতের ক্ষেত্রে পিতার তুলনায় মাতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

৩) মাতা-পিতা ডাকলে তাদের ডাকে সাড়া দেয়া এবং হাজির হওয়া। এমনকি মাতা-পিতা যদি কোনাে অসুবিধায় পড়ে বা অসুবিধার ভয়ে সহযােগিতার জন্য ডাকেন আর অন্য কেউ তাদের সহযােগিতা করার মত না থাকে, তাহলে ফরয নামাযে থাকলেও তা ছেড়ে দিয়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া ওয়াজিব। তবে জরুরত ছাড়া যদি ডাকেন তাহলে ফরয নামায ছাড়া জায়েয হবে না। 

আর নফল বা সুন্নাত নামাযে থাকা অবস্থায় বিনা জরুরতে মাতা-পিতা ডাকলে তখনকার মাসআলা হল- যদি সে নামাযে আছে একথা না জেনে ডেকে থাকেন, তাহলে নামায ছেড়ে তাদের ডাকে সাড়া দেয়া ওয়াজিব। আর যদি নামাযে আছে একথা জেনেও বিনা জরুরতে ডাকেন, তাহলে সেরূপ ক্ষেত্রে নামায ছাড়বে না। দাদা-দাদী, নানা-নানীর ক্ষেত্রেও মাসআলা অনুরূপ।

৪) পিতা-মাতার হুকুম মান্য করা ওয়াজিব, যদি কোন পাপের বিষয়ে হুকুম  না হয়। কেননা, পাপের বিষয়ে হুকুম হলে তা মান্য করা নিষেধ। মােস্তাহাব পর্যায়ের ইলম হাছিল করার জন্য সফর করতে হলে তাদের অনুমতি প্রয়ােজন । তবে ফরযে আইন ও ফরযে কেফায়া পরিমাণ ইলম হাছিল করার জন্য সফর করাটা তাদের অনুমতির উপর নির্ভরশীল নয়। 

৫) পিতা-মাতার সঙ্গে সম্প্রীতি ও ভক্তির সাথে নম্রভাবে কথা বলা আদব। রূঢ়ভাবে ও ধমকের স্বরে কথা বলা নিষেধ।

৬) কথায়, কাজে ও আচার-আচরণে পিতা-মাতার আদব-সম্মান রক্ষা করা। এ জন্যই তাঁদের নাম ধরে ডাকা নিষেধ, চলার সময় তাদের পশ্চাতে চলা উচিত, তাঁদের সামনে নিম স্বরে কথা বলা উচিত, তাদের দিকে তেজ দৃষ্টিতে তাকানাে অনুচিত। উল্লেখ্য যে, সম্মানের ক্ষেত্রে মাতার তুলনায় পিতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

৭) কোনােভাবে তাঁদেরকে কষ্ট দেয়া হারাম। পিতা-মাতা অন্যায়ভাবে কষ্ট দিলেও তাদেরকে কষ্ট দেয়া যাবে না। এমনকি মৃত্যুর পরও তাদেরকে কষ্ট দেয়া নিষেধ, এ জন্যই তাদের মৃত্যুর পর চিৎকার করে কাঁদা নিষেধ। কারণ তাতে তাদের রূহের কষ্ট হয়।

এক সাহাবি (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আমার পিতা–মাতা ইন্তেকালের পরেও কি তাদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের কোনো কিছু দায়িত্ব অবশিষ্ট আছে?’ তখন নবী করিম (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, আছে। তা হলো তাঁদের জন্য দোয়া করা, তাঁদের গুনাহের জন্য তওবা–ইস্তিগফার করা, তাঁদের শরিয়তসম্মত অসিয়তগুলো আদায় করা, তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাঁদের বন্ধুবান্ধবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। এগুলো পিতা–মাতার মৃত্যুর পরও তাঁদের সঙ্গে উত্তম আচরণের শামিল।’ (আবু দাউদ)

৮) নিজের জন্য যখনই দুআ করা হবে, তখনই পিতা-মাতার মাগফেরাতের জন্য, তাঁদের প্রতি আল্লাহর রহমতের জন্য এবং তাঁদের মুশকিল আছান ও কষ্ট দূর হওয়ার জন্য দুআ করা কর্তব্য । তাদের মৃত্যুর পরও আজীবন তাঁদের জন্য এরূপ দুআ করতে হবে । জনৈক তাবিঈ বলেছেন, যে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ বার পিতা-মাতার জন্য দুআ করল, সে পিতা-মাতার হক (অর্থাৎ, দুনিয়াবী হক) আদায় করল । পিতা-মাতার জন্য দুআ করার বিশেষ বাক্যও আল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন। তা হল – 

রাব্বির হাম-হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছাগিরা।


অর্থঃ হে আল্লাহ, আমার পিতা-মাতাকে ভাল রেখ, শান্তিতে আদরে সুখে রেখ, যেভাবে তারা আমাদেরকে রেখেছের আমাদের শৈশবে।

এ দুআর মধ্যে পিতা-মাতার প্রতি আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, পিতা-মাতা অমুসলমান হলে তাদের জীবদ্দশায় এ রহমতের দুআ এই নিয়তে জায়েয হবে যে, তারা পার্থিব কষ্ট থেকে মুক্ত থাকুন এবং ঈমানের তাওফীক লাভ করুন। মৃত্যুর পর তাঁদের
জন্য রহমতের দুআ করা জায়েয নয়। 

৯) পিতা-মাতার খাতিরে পিতা-মাতার বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনের সাথে এবং পিতা-মাতার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, সম্মানের ব্যবহার করা এবং সাধ্য অনুযায়ী তাদের উপকার ও সাহায্য করা কর্তব্য।

১০) পিতা-মাতার ঋণ পরিশােধ করা এবং তাঁদের জায়েয ওছিয়াত পালন করাও তাঁদের অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।

বি. দ্র. দুধমাতার সঙ্গেও সদ্ব্যবহার করতে হবে। তাঁর আদব তাজীম রক্ষা এবং যথাসাধ্য তাঁর ভরণ-পােষণ করতে হবে। আর বিমাতা নিজের আপন মাতা না হলেও যেহেতু সে পিতার প্রিয়জনের মধ্যে একজন, তাই তাঁর সঙ্গে সদ্ব্যবহার এবং যথাসাধ্য তার জানে মালে খেদমত করতে হবে ।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

ইসলাম ও জীবন

হাত ও পায়ের নখ কাটার সঠিক নিয়ম

Rate this post

আমরা অনেকেই মনে করি শুধু সালাত আদায় করাই একমাত্র ইবাদাত। কিন্তু সালাত ছাড়াও আরও অনেক আমল আছে যা অধিক ফজিলতপূর্ণ। তেমন একটি আমল হল নখ কাটা। সকলেই হাঁতে ও পায়ের নখ কেটে থাকি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সঠিকভাবে নখ কাটি না। কোনরকম নক ছোট করলেই হল। 

হাত ও পায়ের নখ কাটার সঠিক নিয়ম
গােসল ফরয থাকা অবস্থায় নখ কাটা মাকরূহ

হাত ও পায়ের নখ কাটার সঠিক নিয়মঃ

১। হাত পায়ের নখ কেটে ফেলা সুন্নাত। প্রতি সপ্তাহে একবার কাটা মােস্তাহাব। জুমুআর নামাযের পুর্বেই এ থেকে পাক সাফ হয়ে মসজিদে যাওয়া উত্তম। অন্তত দুই সপ্তাহে একবার কাটলেও চলবে । চল্লিশ দিনের বেশি না কাটা অবস্থায় অতিবাহিত হলে গােনাহ হবে।

২। দাঁত দিয়ে নখ কাটা মাকরূহ। এতে শ্বেত রােগ হওয়ার আশংকা আছে।

৩। জানাবাতের অবস্থায় অর্থাৎ, গােসল ফরয থাকা অবস্থায় নখ কাটা মাকরূহ।

৪। কেউ কেউ শামী গ্রন্থের বরাত দিয়ে নিমােক্ত তারতীবে নখ কাটাকে সুন্নাত বলেছেন- হাতের নখ কাটতে প্রথমে ডান হাতের শাহাদাৎ (তর্জনী) আঙ্গুল হতে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুল পর্যন্ত কাটবে । তারপর বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল হতে শুরু করে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল পর্যন্ত কাটবে, সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুলের নখ কাটবে । আর পায়ের নখ কাটতে প্রথমে ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে শুরু করে বৃদ্ধাঙ্গুল পর্যন্ত তারপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে কনিষ্ঠ আঙ্গুলে শেষ করবে।

৫। কাটা নখ মাটির নিচে পুতে দেওয়া উত্তম। অত্যন্ত কোন ভালো জায়গায় ফেলে দেয়াও দুরস্ত আছে। নাপাক জায়গায় ফেলে রাখা উচিত নয়।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

স্বাস্থ্য কথা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই? তাহলে এটি খান

Rate this post
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই তাহলে এটি খান
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে জামের বীজের গুঁড়া বানিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে

 জাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জাম ছাড়াও এর বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

গ্রীষ্মের বাজারে আমের মতো জামের চাহিদাও বেশি। জামের বীজ, পাতা এবং বাকল অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহার করা হয়। এই ফলটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। সারা বছরই এই ফল বাজারে দেখা যায়। তাই ডায়াবিটিসকে জব্দ করতে গরমে ভরসা রাখুন জামেই। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে জাম খুবই উপকারী। এর বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে জামের বীজের গুঁড়া বানিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। জামের বীজে জাম্বোলিন এবং জাম্বোসিন নামক যৌগ থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। জামের বীজের প্রোফাইল্যাকটিক ক্ষমতা যা হাইপারগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ফলের বীজ ঘন ঘন প্রস্রাব কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া জামে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

জামের বীজ যেভাবে খাবেন

১) ফল থেকে বীজ আলাদা করুন।
২) এবার বীজগুলো ভালো করে ধুয়ে শুকনো কাপড়ে রেখে রোদে শুকাতে দিন। 3-4 দিন রাখুন।
৩) বীজ সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পরে, বাইরের খোসাটি সরিয়ে ভিতরে থেকে সবুজ অংশ সংগ্রহ করুন।
৪) বীজের ভেতরের অংশগুলো আবার রোদে শুকাতে হবে।
৫) শুকিয়ে গেলে ভাল করে পিষে নিন।
৬) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস দুধ বা পানি মিশিয়ে খান।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৩০ ডিসেম্বর

Rate this post
২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে।

২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবেন। পরে ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২২ লাখ।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Uncategorized

আজকে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে! না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবেঃ মান্না

Rate this post

আজকে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে! না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবেঃ মান্না
মাহমুদুর রহমান মান্না (ফাইল ছবি)


অনলাইন নিউজ ডেস্ক – ২৮ আগস্ট, ২০২১

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ঐক্য ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বলেছেন ‘১৭ অক্টোবর কেন? আজকেই খুলে দিন। নাহলে সারাদেশের লাখো ছাত্র রাস্তায় নেমে আসবে। অবিলম্বে যদি আমরা জবাব না পাই তাহলে সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।’ কিন্তু আন্দোলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ অভিভাবকদের অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করে না। বরং সারাক্ষণ কম্পিউটার নিয়ে বসে থাকে । এতে অনেক শিক্ষার্থী বিপদ্গামী হচ্ছে। তাই দেশের সব ছাত্র সংগঠন, সব শিক্ষক সমাজ, অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে বলছেন।

মান্না আরও বলেন, “আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে আসছি। আমি বলছি, আজকে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। তালিবালি করে লাভ নাই। সরকার বলছে, টিকা দিয়ে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। টিকা তো দিচ্ছেন না। টিকা আপনাদের কাছে নেই।”

তাছাড়া নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মনে করছেন সরকারের কাছে পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ নেই। আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন।

সূত্র বিপ/অনিড

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

সারমর্ম

সারমর্ম : বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে

Rate this post

সারমর্ম : বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
বের দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু।

সারমর্ম : প্রকৃতির লীলাভূমি আমাদের পৃথিবীর সর্বত্রই নানা রকম দর্শনীয় জিনিস রয়েছে। এগুলাে দেখতে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ টাকা পয়সা খরচ করে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তাদের স্বদেশেই তথা তাদের চারপাশে নাগালের মধ্যেই যে অপূর্ব সৌন্দর্যের সমারােহ তথা বস্তু রয়েছে সে ব্যাপারে তারা একেবারেই উদাসীন। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত সৌন্দর্য উপভােগে দেশ-বিদেশ না ঘুরে দেশের মধ্যেই যে সুন্দরের মােহনীয় বস্তু আছে তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি দেওয়া।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Uncategorized

ইসলামের দৃষ্টিতে নাবিলের দৃষ্টিভঙ্গি কিসের পরিচায়ক? আলোকপাত কর

Rate this post
ইসলামের দৃষ্টিতে নাবিলের দৃষ্টিভঙ্গি কিসের পরিচায়ক? আলোকপাত কর

নাবিল নকিবের কাজগুলোতে অংশগ্রহণ না করে নকিবের কাজগুলোর মিথ্যাচার করতো।ইসলামের দৃষ্টিতে নাবিলের দৃষ্টিভঙ্গি আখলাকে যামিমাহর বা নিন্দনিয় চরিত্রের পরিচায়ক। নাবিল নকিবের উত্তম কাজগুলোকে হিংসার চোখে দেখেছিল এবং মিথ্যাচার করে বলতো নকিব নেতা হওয়ার জন্য জনসেবা করছেন। নাবিলের এরূপ মন্তব্য ইসলামের পরিপন্থি। কারণ সকল নবী নিজ নিজ জাতিকে উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়েছেন। উত্তম চরিত্র ব্যক্তিকে সুন্দর ও উন্নত করে। অন্যদিকে চরিত্রহীন ব্যক্তি সকলের কাছে ঘৃণিত ও নিন্দনীয়।
হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন:
“উত্তম চরিত্রই হলো সকল নেক কাজের মূল কথা” (মুসলিম)

ইসলামের দৃষ্টিতে মিথ্যাচার ও অহংকার ঘৃণিত একটি কাজ। অহংকারকারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না। আল্লাহ বলেন পবিত্র কুরআনের সূরা লুকমানের ১৮ তম আয়াতে বলেছেন:
“নিশ্চয় আল্লাহ কোনো উদ্ধত অহংকারকারীকে পছন্দ করেন না।”

তাছাড়া, নকিবের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরশ্রীকাতরতা লক্ষ্য করা যায়। নাবিলের সম্মান ও উচ্চ মর্যাদা দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয়েছিল। পরশ্রীকাতরতা থেকেই ঈর্ষা ও শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এবং পরবর্তীতে তা বিরুপ পতিক্রিয়া সৃষ্টির পাশাপাশি সমাজে ফিত্না-ফাসাদের সৃষ্টি করে। 

সুতরাং আমাদের উচিত উত্তম চরিত্র গঠন করা এবং সেই সাথে অনন্যকেও উত্তম চরিত্র গঠনে উৎসাহিত করা।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

15 Comments

  1. ভাই নকিব তো সমাজ সেবা করে আপনি শেষ প্যারায় লিখছেন নকিব নাবিল্কে হিংসা করে এটা একদম ই ভুল। আর আপনি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের টায় একটু সৃজনশীল আকারে উত্তর গুলা দিয়েন।প্লিজ।

মন্তব্য করুন

অনুচ্ছেদ

বই পড়া অনুচ্ছেদ

3.7/5 - (4 votes)

বই পড়া অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি

বই পড়া 

মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্য সাধনার মৌন সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের অজস্র বই। বইকে সঙ্গী করতে পারলে মানুষের হৃদয়েও মনের অনেক অভাব ঘুচে যায়। সুতরাং আধুনিক জগতে সমগ্র বিশ্বকে উপলব্ধি করতে হলে সভ্য মানুষের বইয়ের অবারিত সঙ্গ না হলে চলে না। আবার বইয়ের সূত্র ধরে মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিবর্তনের পথে। পৃথিবীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম অবলম্বন বই। বইয়ের মাধ্যমে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, জাতি, ভাষা সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করি। বই মানুষকে পৃথিবীতে হাজার বছর পথচলার অনুভূতি দিতে পারে। আবার বইয়ের মধ্য দিয়েই কোন কবি, সাহিত্যিক বা লেখক মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকতে পারেন হাজার বছর।

তাই বই পড়া মানুষকে আনন্দ দানের পাশাপাশি দিতে পারে সঠিক সফলতার ছোঁয়াও। বই মানুষের হৃদয়ের দ্বার খুলে দেয়, চিন্তার জগতকে প্রসারিত করে। আমাদের মননশক্তি ও হৃদয়বৃত্তিকে সম্পূর্ণভাবে জাগ্রত করতে পারি বই পাঠের মাধ্যমেই। তাই বই পড়ার অভ্যাস গঠন করা অবশ্যই উচিত। বইয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যের স্রোতধারা একত্রিত হয়। সেই ধারার সাথে মিললেই মানুষের আত্মপ্রসার ঘটে। তাই আমরা অধিক পরিমাণে বইপাঠে আগ্রহী হব, যা দিতে পারে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ “নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ”

Rate this post

নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ

বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
নৈতিক মূল্যবােধ মানবচরিত্রকে করে তােলে সুষমামণ্ডিত। শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবােধ তৈরি। মানব জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবােধের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত নৈতিকতা সম্বন্ধে সচেতনতা জাগানাের শিক্ষাকে মূল্যবােধ শিক্ষা বলা হয়। দীর্ঘ অনুশীলনের পর গ্রহণ বর্জন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে সকল বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোেধকে গ্রহণ ও লালন করা হয় যেগুলাে ব্যক্তি ও সমাজের জন্য কল্যাণকর, সঠিক ও কাঙ্ক্ষিত। সামাজিক ন্যায়নীতি, বিশ্বাস, আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে যে ধ্যান ধারণা তাই মূল্যবােধ। মানবিক মূল্যবােধের মধ্যে পড়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালােবাসা, স্নেহ, প্রীতি, সহমর্মিতা, সহনশীলতা ইত্যাদি। 
মানবিক মূল্যবােধের সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক জড়িত। মানবিক মূল্যবােধ যার নেই তার নৈতিকতাবোধ নেই বলা চলে। শিশুরা মানবিক মূল্যবােধ নিয়ে জন্মায় না, এটি তাদের অর্জিত গুণ। শিশুরা পরিবার, সমাজ থেকে মূল্যবােধ ও নৈতিকতার শিক্ষা পায়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয়ও মূল্যবােধ ও নৈতিকতা শিক্ষা লাভের উৎকৃষ্ট স্থান। মানুষের জীবন ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা সংকীর্ণতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না এবং মানুষ ন্যায়-অন্যায়, ভালাে-মন্দ বিচার করবে এবং মানবতার পরিচয় দিবে এটাই নৈতিক মূল্যবােধ চর্চার মূল কথা। নৈতিক আদর্শ সম্বলিত সমাজে কোনাে অনাচার থাকবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, বঞ্চনা, শোষণ, স্বার্থপরতা এসব থেকে সমাজ মুক্ত থাকলে তাতে নৈতিকতার আদর্শ প্রতিফলিত হয়। সকল প্রকার দুর্নীতি থেকে মুক্ত জীবনই আদর্শ-জীবন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা, সত্য ও ন্যায় পথের অনুসারী হওয়া, অপরের ক্ষতি থেকে বিরত থাকা, পরােপকারের মহান ব্রতে নিজেকে নিবেদিত করা- এসব গুণ নিয়েই নৈতিকতার বিকাশ। 
মানবিকগুণে সমৃদ্ধ চরিত্রই নৈতিক মূল্যবােধের ফল। নৈতিক মূল্যবােধ ব্যক্তিজীবনকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে, তার আদর্শ সবার কাছে অনুসরণীয় হয়। সত্যকে সত্য বলে চিনতে পারা, মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া নৈতিক মূল্যবােধের ফল। মূল্যবােধের চেতনা দিয়ে ন্যায়ের আদর্শকে সমুন্নত রাখা সভব। শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ এই নৈতিক মূল্যবােধ সংবলিত মানুষ ও নাগরিক সৃষ্টি করা। মানুষের আত্মিক ও সামাজিক উৎকর্ষের জন্যে এবং জাতীয় জীবনে উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য সমাজে নৈতিক মূল্যবােধের লালন, চর্চা ও বিকাশের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ (Bangladesh)। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বিজয়। সমগ্র দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের ফলেই এই স্বাধীনতা লাভ সম্ভব হয়েছিল। তাই আমাদের প্রয়ােজন ও কর্তব্য নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে একটি সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তােলা।

Rimon

This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.

মন্তব্য করুন

Related Articles

Back to top button