স্বাস্থ্য কথা

শীতে সরিষার তেল ব্যবহারে ৮ টি উপকারিতা

সেই আদিকাল থেকে সরিষার তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। এর গুণাগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আগে নানি-দাদিরা তেল মানেই সরিষার তেল বুঝতো। রান্নায় এবং ত্বকের জন্য এটিই ব্যবহার করা হতো। আর শীত এলেতো কথাই নেই। নানা রোগের মহাষৌধ হিসেবেও কাজ করে এ তেল।

5/5 - (1 vote)

শীতের মৌসুমে ঠান্ডা ঠান্ডা একটা ভাব থেকেই যায় সবসময়। তাই নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে অনেক উপকার পাওয়া যায়-

এর ব্যবহার শুধু সাধারণ কিছু রোগ থেকে মুক্তি দেয় না; গুরুতর রোগ থেকেও মুক্তি দেয়। হালকা গরম সরিষার তেল দিয়ে শরীরে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। শীতে সরিষার তেল ব্যবহারের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

১. জ্বর, সর্দি, কাশি: শীতকালে ছোট-বড় সবারই প্রায় সর্দি-কাশি লেগে থাকে। তাই এ সময় সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে বুকে জমে থাকা কফ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নাক বন্ধ হলে গরম পানিতে সরিষার তেল মিশিয়ে ভাপ নিলেও আরাম মিলবে। এছাড়াও, সরিষার তেলে কিছু লবঙ্গ ও রসুন দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে একটি পাত্রে রাখুন এবং প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এর কয়েক ফোঁটা নাকে দিন। এতে দ্রুত ঠান্ডা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তবে নবজাতকের বেলায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা ভালো।

২. হার্ট: এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রান্নাতে সরিষার তেল খাওয়া হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।

৩. ব্যথা কমায়: সরিষার তেল হালকা গরম করে ব্যথার জায়গায় মালিশ করলে ব্যথা কমে। কারণ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

৪. ক্যান্সার: গবেষণায় বলছে, সরিষার তেল ক্যান্সার কোষ বাড়তে দেয় না। এ কারণে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা ভালো। এছাড়াও এই তেল ব্যবহারে হাঁপানি, কাশি এবং দাঁতের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

৫. ওজন কমায়: সরিষার তেলের রান্না হার্ট, হাড়, হজম এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই তেল ডিপ ফ্রাই, খাবার গরম এবং খাবারে অনন্য স্বাদ আনতে কার্যকর। যারা পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা উচিত। এ তেল হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আর দ্রুত খাবার হজম হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৬. সানস্ক্রিন: সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে। সেজন্য এ তেল ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই স্কিন ক্যান্সার ও প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন ই বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে পারে।

৭. চুলের জন্য: সরিষার তেল ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৮. অ্যাজমা: অ্যাজমা ও সাইনুসাইটিসের প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে সরিষার তেল অত্যন্ত কার্যকর, ঠান্ডা-কাশি নিরাময়েও চমৎকার কাজ করে সরিষার তেল, ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে।

শীতে সরিষার তেল ওষুধের মতো কাজ করে। এটি সাধারণ রোগ থেকে শুরু করে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও কাজ করে।

Health Desk

সিনিয়র স্টাফ। স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা সমস্যা ও হেলথ টিপস নিয়ে নিয়মিত লিখছি। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।

Related Articles

Back to top button