সিগারেটের মেন্থলের প্রভাবে মুখ, গলা এবং ফুসফুসের ধোঁয়া ধরে রাখার প্রবণতা বেড়ে যায়। আর এর ফলে হৃদরোগ হয়।
সম্প্রতি, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) মেন্থল এবং অন্যান্য স্বাদযুক্ত সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করেছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের মতামত চেয়েছে সংগঠনটি। ইদানীং মানুষ কমলা, লবঙ্গ, দারুচিনি এবং ভ্যানিলার মতো বিভিন্ন স্বাদের সিগারেটের প্রতি আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এফডিএ-র একটি সমীক্ষা অনুসারে, আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে মেন্থল সিগারেটের ব্যবহার বেশি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই স্বাদের সিগারেটের চাহিদা রয়েছে।
![]() |
অন্য সিগারেটের তুলনায় মেনথল সিগারেট ক্ষতিকর বেশি। |
মেনথল একটি বিশেষ রাসায়নিক যা সিগারেটের ফিল্টারে ব্যবহৃত হয়। এটি ধোঁয়ার সাথে মুখ, গলা এবং ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছায় এবং ঠান্ডা অনুভূত হয়। আর এটাই অনেক সমস্যার কারণ
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের একটি গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, অল্পবয়সী বা যারা সবেমাত্র ধূমপান শুরু করেছে তাদের মেন্থল সিগারেট খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮ বছরের কম বয়সী যারা ধূমপানে আসক্ত তাদের মধ্যে মেনথল সিগারেটের স্বাদও আসক্তির একটি প্রধান কারণ।
মেনথল জাতীয় সিগারেট এর ধোঁয়া মুখ, গলা দিয়ে ফুসফুসে যায় এবং ঠান্ডা অনুভূত হয় বলে ধোঁয়া বেশিক্ষণ ফুসফুসে অবস্থান করে। এতে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। তবে বড় ক্ষতিটা হয় একারণেই। ধোঁয়া বেশিক্ষণ ভেতরে থাকলে শরীর বেশি নিকোটিন শোষণ করে। এটি রক্তচাপ বাড়ায়।
চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত সিগারেটের তুলনায় মেন্থল সিগারেট শুধু উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।
এফডিএ বিশ্বাস করে যে মেন্থল-টাইপ সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞা তরুণদের মধ্যে ধূমপান কমিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, তামাক সেবনে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর সঙ্গে সঙ্গে সাস্থ্য ঝুঁকি কমানোও সম্ভব হবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
