করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার কথা বার বার বলে আসছে রোগতত্ত্ব , রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসির )। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO )-ও তাদের পরিবর্তিত নির্দেশিকায় মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু শুধু পরলেই তো হল না, সেই মাস্ক পরিষ্কার করবেন কী উপায়ে তা না জানা থাকলে বিপদ থেকেই যায়। তাছাড়া অপরিষ্কার মাস্কের মাধ্যমেও রোগাক্রান্ত হতে পারেন।
তাই মাস্ক পরিষ্কার করার পদ্ধতি জেনে রাখা প্রয়োজন । যদি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করেন, তা হলে ধোয়াধুয়ির ঝামেলা নেই। কারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পরে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এন৯৫ (চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য) ও সুতির কাপড়ের মাস্ক বা টেরিলিন কাপড়ের মাস্ক এমনকি ঘরোয়া উপায়ে বানানো মাস্ক পরলেও নির্দিষ্ট রীতি মেনে তা পরিষ্কার করতে হবে।
মাস্ক পরিষ্কার করার নিয়ম
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক গৌতম বরাটের মতে:
বাড়ি ফিরে মাস্ক খুলুন দড়ি, ফিতে বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে। হাত সরাসরি মাস্কে লাগাবেন না। এরপর মাস্কটি সাবান পানিতে ভিজিয়ে ভালো করে কেচে নিন । তাতে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হবে। কেচে শুকোনোর পর মাস্কটি ৫-৭ মিনিট ধরে ইস্ত্রি করে নিলেই আপনার মাস্ক ফের ব্যবহারের জন্য তৈরি।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোন কোন খাবার খাবেন?
ইস্ত্রি করতে না পারলে মাস্কটি কাচার পর জীবাণুনাশক লোশনে ডুবিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন ছাদের কোনও আংটায়। ফিতে বা দড়ির অংশটি আংটা ধরে ঝুলবে। শুকানোর সময় মাস্কের মূল অংশে ধুলোবালি যেন না লাগে।
এ ছাড়া আর একটি উপায়ও রয়েছে। পানি গরম দিয়ে তাতে লবণ ফেলে দিন। এ বার ওই লবণ মেশানো গরম জলেও মাস্ক ফেলে ফুটিয়ে নিতে পারেন। তাতেও সহজেই জীবাণুমুক্ত হবে মাস্ক। তবে এ ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে তাকে কড়া রোদে শুকোতে দিন।
কোনও ভাবেই ভেজা মাস্ক পরবেন না। এতে সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে অন্যজনের ব্যাবহার করা মাস্ক কখনোই নিজে ব্যাবহার করবেন না। আরও একটি মাস্ক বেশি দিন ব্যাবহার করাও স্বাস্থ্য সম্মত নয়। বিশেষ করে সার্জিক্যাল মাস্ক একদিনের বেশি ব্যাবহার করা উচিত না। সার্জিক্যাল মাস্ক অনেকে ধুয়ে আবার ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু সার্জিক্যাল মাস্ক একবারই ব্যাবহার উপযোগী।