ইউরিক অ্যাসিডের কারণে অনেক খাবার খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগ দিলে নিয়ম মেনে অনেক কিছুই খেতে পারবেন।
ইউরিক অ্যাসিড থাকা মানেই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ধরুন আপনি পালং শাক খেতে ভালোবাসেন, কিন্তু আপনার ইউরিক অ্যাসিড থাকলে তা আর খেতে পারবেন না। এভাবে টমেটো, মসুর ডাল, ডাল ও গরুর মাংস খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে। কিন্তু শুধু কি এগুলো না খেলে ইউরিক এসিড কমে যাবে? সেই সঙ্গে ধূমপান ও অ্যালকোহলের অভ্যাস পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে।
![]() |
দীর্ঘ সময় বসে থাকলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় |
যেহেতু দীর্ঘ সময় বসে থাকলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, তাই নিয়মিত ব্যায়ামও জরুরি। অতএব, বিশেষজ্ঞরা প্রতি ৩০ মিনিট বসার পরে কমপক্ষে ৩ মিনিটের জন্য দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। লিফটে ওঠার অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না? প্রতিদিন নিয়মিত দুই একটি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠুন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন শক্তি শারীরিক ব্যায়াম এবং প্রতিদিন স্ট্রেচিং এবং যোগব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। ব্যায়ামের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও ঘুমানো জরুরি।
যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন?
টমেটো কেচাপ, ক্যানড ড্রিঙ্কস, চকলেট, চিপস, বিস্কুট এবং প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এগুলো খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এখনই সাবধান হয়ে যান।
যে সকল খাবার খেতে পারেন
পালং শাক খেতে পারেন, তবে রান্না করে খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে দই রাখতে পারেন। দিনে ১-২টি ডিম খেলে কোনো সমস্যা নেই। আর মাছ-মাংস একেবারেই বন্ধ করার দরকার নেই, সপ্তাহে ২-৩ দিন মাছ বা মাংস খাওয়া যেতে পারে।
প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করুন। তাজা মৌসুমি ফল খাওয়া জরুরি। কলা খেতে পারেন, এতে জয়েন্টের ব্যথা কমবে। শরীরে ভিটামিন B12 এর পরিমাণ বাড়াতে দুধ ও দই খাওয়া জরুরি। বিস্কুট না খেয়ে বাদাম খান।