প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজ স্পারসো (SPARRSO) ও আবহাওয়া সতর্ক সংকেত নিয়ে কি কি সাধাওন জ্ঞানের প্রশ্ন আসতে পারে এবং উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। যারা বিসিএস ও সরকারি চাকরির জন্য পড়াশুনা করছ আশা করি তাদের উপকারে আসবে।

স্পারসো (SPARRSO)
প্রশ্নঃ SPARRSO কি?
উত্তরঃ মহাকাশ গবেষণা এবং দূর অনুধাবন সংস্থা। এটি ঘূর্ণিঝড় এবং দুর্যোগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের একমাত্র পূর্বাভাস কেন্দ্র।
প্রশ্নঃ SPARRSO এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ Space Research and Remote Sensing Organization.
প্রশ্নঃ SPARRSO কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
উত্তর: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রশ্ন: SPARRSO কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর: ১৯৮০ সালে।
প্রশ্ন: SPARRSO এর সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর: আগারগাঁও, ঢাকা।
আবহাওয়া সতর্ক সংকেত
বাতাসের তীব্রতা ও গতির ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণী
- নিন্মচাপ : বাতাসের গতিবেগ (ঘন্টায়) ৫০ কি.মি. বা ৩১ মাইল।
- গভীর নিন্মচাপ: বাতাসের গতিবেগ (ঘন্টায়) ৫১ থেকে ৬১ কি.মি. বা ৩২-৩৮ মাইল।
- ঘূর্ণিঝড়: বাতাসের গতিবেগ (ঘন্টায়)৬২ থেকে ৮৮ কি.মি. বা ৩৯-৫৪ মাইল।
- প্রবল ঘূর্ণিঝড়: বাতাসের গতিবেগ (ঘন্টায়) ৮৯ থেকে ১১৭ কি.মি. বা ৫৫-৭৩ মাইল।
- হারিকেনের তীব্রতা সম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড়: বাতাসের গতিবেগ (ঘন্টায়) ১১৮ থেকে ১৭০ কি.মি. বা ৭৮-১০৫ মাইল।
- সুপার সাইক্লোন: বাতাসের গতিবেগ (ঘন্টায়) ১৭১ কি.মি. এর অধিক বা ১০৬ মাইল এর অধিক।
ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা ও হুঁশিয়ারি সংকেত
- সমুদ্র বন্দরের জন্য (১১টি)
- নং ১-৪ : দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত।
- নং ৫-৭ : বিপদ সংকেত।
- নং ৮-১০ : মহাবিপদ সংকেত।
- নং ১১ : যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থতা।
- নদী বন্দরের জন্য (৪টি)
- নং ১ : সতর্কতা সংকেত।
- নং ২ : হুঁশিয়ারি সংকেত।
- নং ৩ : বিপদ সংকেত।
- নং ৪ : মহাবিপদ সংকেত।
(তথ্যসূত্র : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০১৫)
বেনজিন রিং সোসাইটির বর্তমান আট দফা-
১। প্রত্যেক জেলায় উচ্চতর গবেষণার্থে সরকারি অর্থায়নে একটি করে বেনজিন রিং সোসাইটি স্থাপন করতে হবে। এবং সেখানে মহাকাশ গবেষণায় প্রাধান্য থাকবে।
২। মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশের বাজেটে কমপক্ষে ৫% বরাদ্দ দিতে হবে।
৩। আবহাওয়ার পূর্বাভাস গ্রহণে একটি উন্নত স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করতে হবে। যা হবে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস গ্রহনে সক্ষম।
৪। ঢাকার অদূরে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক গবেষণায় একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন জরুরী । যেখানে বিজ্ঞানের নানা শাখায় SPARRSO-র নেতৃত্বে সৃষ্টিশীল মেধার কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ কর।
৫। বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে প্রাকৃতিক ও জাতীয় সম্পদের সঠিক উত্তোলন। আর দেশের অভ্যন্তরীণ স্বার্থে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকৃত বণ্টন নির্ধারণ ও দেশীয় স্বার্থে কঠোর নজরদারি।
৬। পরিবেশবান্ধব কৃষির উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ।
৭। প্রত্যেক জেলায় ১০ একর জমিতে ৩০ (ত্রিশটি) করে “মডেল গ্রীন হাউস” তৈরি করতে হবে। যেখানে ফলমূল-শাকসবজি ও ফুলের চাষাবাদের ব্যবস্থা তৈরি এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের নেতৃত্বে থানায় থানায় তা পৌঁছিয়ে দিতে হবে।
৮। কলকারখানার পরিকল্পিত স্থাপন জরুরী ও বর্জ্য নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবেশ দূষণ কমানোয় জোর দাও।