চিকিত্সকদের মতে, ঘন ঘন গ্যাস-হজমের ওষুধ সেবনে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী অসুখ হয়। কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব!
হজমের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাঙালিরা যেমন ভোজনরসিক, তেমনি পেটরোগাও। ‘পেটরোগা বাঙালি’ শিরোনাম আজকের নয়। একটু বেশি খেলে বা তেল-মশলার পরিমাণ এ দিক-ও দিক হলেই অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। তাই এক মুঠো ঔষধ খেয়ে ফেলেন।
চিকিৎসকদের মতে, খুব বেশি ওষুধ নির্ভর হলে এক সময় ওষুধ ছাড়া হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ঘন ঘন গ্যাস-অম্বলের ওষুধ সেবনে নানা দুরারোগ্য রোগ হয়। তাই সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক উপায়ে হজম ক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং হজমের উপযোগী খাবার খেতে হবে।
কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার এবং কিছু কৌশল অনুসরণ করে সহজেই হজমের সমস্যা দূর করা যায়।
১) খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান? তাড়াহুড়ো করে খেয়ে-দেয়ে কাজে দৌড়ানোর প্রবণতা অনেকেরই থাকে। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেলে তাতে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যোগ হয়, যা সহজে হজম হয়। তাই সময় নিয়ে খেতে বসুন।
২) গ্রিন টি পান করুন। হজমের সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে পারে এই গ্রিন টি। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম এনজাইমের কার্যকারিতা বাড়ায়। পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩) লবণ-তেল-মশলা এড়িয়ে চলুন। ঝাল খেতে চাইলে কাঁচা লঙ্গর ঝাল খান। শুকনো মরিচ একেবারেই নয়। কাঁচা মরিচের ক্যাপসাইসিন হজমশক্তি বাড়ায়।
৪) মাংস খাওয়ার পর দুধ, ভাতের পর ফল, ভাজা খাবার খাওয়ার পর পানি খাবেন না। এর ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
৫) যতটা সম্ভব প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। যখনই খাবার টিনজাত করা হয়, অনেক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে তেমনি পরিপাকতন্ত্র তার কার্যক্ষমতা হারায়।
৬) শরীরে পানির ঘাটতি হলে বদহজম হতে পারে। তাই দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করার অভ্যাস করুন।
৭) পুষ্টিবিদদের মতে, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের সকালে ভারী নাস্তা করা উচিত। দিন বাড়ার সাথে সাথে খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। রাত ৮ টার আগে রাতের খাবার শেষ করুন। খাওয়ার পরপরই ঘুমাতে যাবেন না।