অনেকের কাছে কাঁঠাল যেমন অনেক প্রিয় একটি ফল ঠিক তেমনি কাঁঠালের বীজও। কিন্তু এই বীজ খাওয়া আসলেই কী স্বাস্থ্যকর?
গরমে অনেকেই কাঁঠাল খান। শুধু কাঁঠাল নয়, কাঁঠালের বীজ খাওয়া অনেক বাঙালির বাড়িতেই প্রচলিত। কিন্তু এই বীজ কতটা স্বাস্থ্যকর? পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁঠালের বীজ সব ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর।
![]() |
কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এটি আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে |
১. ফাইবার: কাঁঠালের বীজে স্বাস্থ্যকর ফাইবার থাকে যা ভাল হজম, বিপাক এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ফাইবার ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
২. ভিটামিন: কাঁঠালের বীজে রয়েছে ভিটামিন বি। এই ভিটামিনটি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেশী শক্তি এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে ভিটামিন বি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. হিমোগ্লোবিন: কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এটি আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, এই হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৪. প্রোটিন: এই বীজ প্রোটিন সমৃদ্ধ। ফলে এসব বীজ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। অতিরিক্ত ওজন কমার ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এই ধরনের খাবার খুবই উপকারী।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে কাঁঠালের বীজ, যা বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে মনে রাখবেন, সবার শরীর সমান নয়। তাই সব খাবার সবাই সহ্য করবে এমন ভাবা ঠিক নয়। নিয়মিত কোন খাবার খাওয়ার আগে বা পরে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কাঁঠালের বীজও এর ব্যতিক্রম নয়।