লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, বিটের রস করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। কোন গুণের দ্বারা এটি সম্ভব?
হজমপ্রক্রিয়া থেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুষ্টিবিদরা বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন। একটি নতুন গবেষণায় বিটের একটি নতুন গুণ পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বীটের রস ধমনীর প্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা করোনারি হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ।
বিটের রস করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় |
কী এই রোগ?
করোনারি আর্টারি ডিজিজ হৃৎপিণ্ডের সাথে যুক্ত ধমনীর একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ধমনী সরু হয়ে যায়। ধমনীর ভেতরের দেয়ালে কোলেস্টেরল জমতে শুরু করলে এই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ধমনীর প্রাচীরের প্রদাহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থার কারণে এক পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, বিটের রস করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
বিটের রসে অজৈব নাইট্রেট পাওয়া যায়। এই যৌগটি শরীরে নাইট্রেট অক্সাইড তৈরি করে যার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা কম থাকে। কারণ এটি তৈরি করে এমন এনজাইম কম সক্রিয়। বিট তার অভাব পূরণ করে। শুধু তা-ই নয়, বিট এন্ডোথেলিয়াম কোষের কার্যকারিতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এই কোষগুলি রক্তনালীগুলির ভিতরে থাকে যা রক্তনালীগুলিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
বিটের আরও পুষ্টিগুণঃ
১) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২) পেশী শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩) গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।
৪) যেহেতু আপনার ক্যালোরির মাত্রা কম এবং প্রায় কোনো চর্বি নেই, তাই আপনি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করলেও এই জুসটি আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন।
৫) শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে বিট খুবই কার্যকরী। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে বিট রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা বাড়ায়। তাই এটি একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে।ঝুকি
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।