শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বোঝা কঠিন। তাই সময়মতো লক্ষণগুলো চিনতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, হাত এবং পায়ে ব্যথা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।
শরীরে ভালো এবং খারাপ উভয় কোলেস্টেরল থাকে। ‘HDL’ এবং ‘LDL’, এই দুই ধরনের কোলেস্টেরল প্রধানত মানুষের শরীরে পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই কপালের বলিরেখার কারণ। এই কোলেস্টেরল বাড়লে স্ট্রোক ও হৃদরোগও হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল, শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লেও সাধারণ মানুষের পক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বোঝা কঠিন। বেশির ভাগ সময় কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লেও বোঝা যায় না। তাই সময়মতো লক্ষণগুলো চিনতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়লে নিতম্ব, পা ও উরুর মাংসপেশিতে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু তা কেন? বিজ্ঞান বলে যে রক্ত ধমনীর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে সঞ্চালিত হয়। যখন কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন ধমনীতে ফ্যাট জমা হয়। একে বলা হয় ‘অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস’। এই প্লাক বিল্ড আপ রক্ত প্রবাহ বন্ধ করতে পারে। ফলক গঠিত হতে পারে। এই ধরনের প্লাক তৈরি হলে রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে সঠিকভাবে ছড়াতে পারে না। শরীরের পেরিফেরাল অংশে বিকাশ হওয়া এই সমস্যাটিকে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘PAD’ বলা হয়। এই রোগে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হয়।
এই রোগের লক্ষণ কি? ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, এই রোগে পায়ের একাধিক অংশে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যেতে পারে। পা, নিতম্ব, উরু ও উরুর মাংসপেশি এই রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এমনকি হাঁটার কারণেও ব্যথা হতে পারে। তা ছাড়া পা নীল হয়ে যাওয়া, ক্ষত সারতে দেরি হওয়া বা এক পায়ের উষ্ণতা অন্য পায়ের চেয়ে কম হওয়াও এই রোগের লক্ষণ। অনেকেই এই সমস্যাটিকে হাত বা পায়ের সমস্যা বলে অবহেলা করেন। কিন্তু পায়ের সঞ্চালনে এই সমস্যা মানে শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশেও একই সমস্যা নীরবে বিকাশ লাভ করতে পারে। অতএব, এই সমস্যা দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
Nice