বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে বক্তৃতা ভাষণ । ৭ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে নিতে বক্তৃতা ভাষণঃ প্রতিটি সচেতন এবং পরিশ্রমী ব্যক্তি স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং জীবনে ভাল অভ্যাস অর্জন করে। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকে উৎসাহিত করার জন্য সমগ্র বিশ্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন করে। ৭ই এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালিত হয়। সুস্বাস্থ্যের মূল্য সম্পর্কে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশ জুড়ে অসংখ্য প্রচারণা চালানো হয়। প্রথমবারের মতো, দিবসটি ১৯৫০ সালে পালিত হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে বক্তৃতা ভাষণ
সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,
আজ, আমি এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে বক্তৃতা দিতে এসেছি। প্রতি বছর ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। মানুষকে ভালো থাকার সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করতে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য অলাভজনক সংস্থাগুলি এই দিনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম এবং পরিকল্পনা করছে।
ব্যক্তিকে সচেতন করা দরকার যে স্বাস্থ্যই সম্পদ। আমাদের বুঝতে হবে যে সুস্থতা আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিজেকে ফিট এবং নিরাপদ রাখা গুরুত্বপূর্ণ, বিশ্বে অনেক রোগ বিরাজ করছে। এটি জনসাধারণের কাছে স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতি বছর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থিমগুলির সাথে একত্রে বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। দিনটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের প্রাসঙ্গিকতার দিকে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। WHO প্রতি বছর একটি থিম পরিকল্পনা করে। এই স্বাস্থ্য সম্পর্কে সকল সমস্যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সকলের নিকট তুলে ধরে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা একসাথে হয়ে নিজ দেশের স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। তাছাড়া ডাব্লুএইচও স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে দেশের জনগণকে সচেতন করে এবং মহামারি হলে কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে সে সম্পর্কে একটি গাইডলাইন দিয়ে থাকে।
আজকের ক্রমবর্ধমান বিশ্বে স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ জীবনের প্রয়োজন অনুধাবন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল লক্ষ্য। আমারা আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল নই বিদায় আমরা আমাদের খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম ও কাজের প্রতি তেমন গুরুত্ব দেই না। আর আমরা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখনি সুস্থতার অনুধাবন করি। আমাদেরকে উপলব্ধি করতে হবে যে, সুস্থতাই একজন মানুষের বড় নেয়ামত।
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান রোগ-ব্যাধির কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে।প্রতিবছর নতুন নতুন মহামারি, রোগব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরা হয় এবং এই ধরনের মহামারীকে মোকাবেলা করার জন্য একটি থিম তৈরি করে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য নিশ্চিত করার লক্ষে সারা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ইভেন্ট এবং সেবার আয়োজন করা হয়।
মানুষের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং আচরণ থেকে মুক্তি পাওয়ার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত, বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনও অসুস্থতার জন্য ওষুধ খান।
নিজ স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হওয়ার পাশাপাশি, এলাকার অনন্যা মানুষ ও আত্মীয়-স্বজনরাও যেন তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হন সে দিকে লক্ষ্য রাখা। স্বাস্থ্য দিবসের একটি বড় উপাদান হল একটি স্বাস্থকর জীবনধারা এবং আপনার চারপাশের একটি স্বাস্থ্যকর পৃথিবী।
সকলে ধন্যবাদ ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস নিয়ে ভাষণটি কেমন লাগলো তা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এর পাশাপাশি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।