স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে একটি ভাষণ। ২৬শে মার্চ বক্তব্য ভাষণ
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য ভাষণঃ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অনেক। এই দিনে অনেক আলোচনা সভা ভাষণের আয়োজন করা হয়। তেমনি একটি সুন্দর ভাষণ তুলে ধরা হল।
স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য – শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে একটি ভাষণের নমুনা দেওয়া হলঃ
অনুষ্ঠানের মাননীয় সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, আলোচকবৃন্দ, সুধীমণ্ডলী,
মহান স্বাধীনতা দিবসের ওপর আমাকে কিছু বলার সুযোগদানের জন্য সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। আপনারা জানেন, বিশ্বের বহু জাতিই স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। যে দিনটিতে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় সেটি সেই দেশের স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছরই একবার করে সেই স্মরণীয় ও তাৎপর্যময় দিনটি উপস্থিত হয়। দিনটিতে জাতি প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত হয়।
স্বাধীনতা একটি জাতির তথা দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। যে জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ সে জাতির জীবনে কোনো গৌরব নেই । স্বাধীনতা জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলে। তাই জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও অর্থবহ ।
সম্মানিত সুধী,
বাঙালির জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের অবদান ও গুরুত্ব ব্যাপক। এককথায় যা বলে শেষ করা যাবে না। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এর জন্য বাঙালিকে অপরিমেয় ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক্তিস্তানি বর্বর বাহিনী এ দেশের ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৬ মার্চই বাঙালি রুখে দাঁড়ায়। তাই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। সেই ১৯৭১ সালের মহান দিনের কথা স্মরণ করেই প্রতি বছর ২৬ মার্চ আমরা পালন করি স্বাধীনতা দিবস।
সুধীমণ্ডলী,
পরাধীনতা আর শোষণের বঞ্চনা থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে এ দিনে আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু করি। আমাদের মর্যাদা নতুন করে উপলব্ধি করার সময় ও সুযোগ নিয়ে আসে এ দিনটি। তাই স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে তার জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কম বড় কাজ নয়।
সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য স্বাধীনতা দিবস আমাদের কর্তব্য সচেতন করে। এ দিনটি আমাদেরকে নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত করে তোলে। আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। এ দিনের কথা ভেবে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। সবাইকে ধন্যবাদ।
আরও ভাষণের নমুনা দেখতে পারেনঃ
- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষণ ও বক্তৃতা
- পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে ভাষণ
- ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস নিয়ে ভাষণ ও বক্তব্য
- [ ভাষণ ] ইভটিজিং প্রতিরোধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা
- নৈতিক অবক্ষয় উন্নয়নের অন্তরায় নিয়ে ভাষণ
- নজরুল জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ, বক্তৃতা
- নৈতিক অবক্ষয় উন্নয়নের অন্তরায় ভাষণ
- কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের ভাষণ
- পড়ার অভ্যাস গঠন সম্পর্কে ভাষণ
- ভাষণ : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন