শীতের সকাল – অনুচ্ছেদ (৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি)
শীতের সকাল
ঋতুবৈচিত্র্যে ঘেরা আমাদের এ দেশ। ষড়ঋতুর এদেশ বারবার তার রং পালটায়। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আসে শীত। আর শীতের সকাল মানুষের মনে এক বিচিত্র অনুভূতির সঞ্চার করে। সেই পাতাঝরা কুয়াশা মােড়া সকালের দিকে তাকিয়ে মন কেমন যেন বিষন্ন হয়ে উঠে। তখন শীতকে মনে হয় উদাসী এক বাউল।
শীতের সকাল কুয়াশায় ঢাকা থাকে। সমস্ত পৃথিবী যেন শিশির সিক্ত। ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু যেন এক একটি মুক্তার মতাে। বাইরে কনকনে শীত। বের হবার কোনাে উপায় নেই। সূর্যের মুখ দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকে সবাই। সব মিলিয়ে শীতের সকাল অনুপম সৌন্দর্য আর মােহময়তার বহিঃপ্রকাশ। শীতের কনকনে আবহাওয়া সবার মনেই পানি ভীতির সৃষ্টি করে। গ্রামগুলাে প্রকৃতির শাশ্বত চিত্র বহন করে। শীতের সকালে গ্রামের গরিব মানুষেরা গরম কাপড় পায় না। একটু উত্তাপের প্রত্যাশায় সবাই উন্মুখ থাকে। আঙিনায় কিংবা খােলা জায়গায় খড় জ্বালিয়ে একটু আগুনের সান্নিধ্যে আসার প্রচেষ্টায় মত্ত থাকে তারা। সূর্যের আলাের প্রত্যাশায় চোখ থাকে উদীয়মান সূর্যের দিকে। গ্রামে শীতের সকালে মুড়ি-চা খাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। সূর্যের আলাের প্রত্যাশায় পােহাতে ছােট শিশুদের মুড়ি খাবার দৃশ্য চমৎকার। শীতের সকালে শহরের দৃশ্য একটু ভিন্নতর। শহরে শীতের সকালে হকারদের পত্রিকা বিক্রির ডাক, রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে ভিড় আর কত রং-বেরঙের পােশাকের বাহার দেখা যায়। গরিব মানুষের জন্য শীত যেন অভিশাপ বয়ে আনে। শীতের সকালে গ্রামাঞ্চলে খেজুরের রস খাবার উৎসব হয়। এ সময় পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় প্রতিটি বাড়িতে। শীতের সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন নদীর জলে এক অপূর্ব আবহ সৃষ্টি হয়। শীতের সকাল তেমন দীর্ঘ হয় না। একসময় সূর্য ওঠে। প্রকৃতির কোলে সৃষ্টি হয় নতুন আবাহন। তারপরও রেশ থেকে যায়। মনে কেঁদে উঠে আরেকটি সকালের প্রত্যাশায়। এভাবে একসময় শীত বিদায় নেয়, আগমন ঘটে অন্য ঋতুর।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
sorry
বাল