শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ – Winter cake paragraph writing for class 6 7 8 9 10 (SSC HSC)
শীতের পিঠা অনুচ্ছেদ
আমাদের দেশের মানুষ সুদূর অতীত থেকেই অতিথিপরায়ণ। বাড়িতে অতিথি এলেই পিঠা বানানাের ধুম পড়ে যেত আগেকার দিনে। এখন মানুষের জীবন প্রায় যান্ত্রিক হয়ে গেছে। তাই আগের মতাে অতটা পিঠা বানানাের ধুম না পড়লেও মােটামুটি তার রীতি এখনাে আছে। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীতকাল। বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে নির্মম বৃক্ষতা, সীমাহীন রিক্ততা এবং গভীর বিষাদের প্রতিমূর্তি এই শীতঋতু। শীতের হিম শীতলতায় গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। পত্রহীন গাছের ডালগুলাে যেন থেমে থেমে হাহাকার করে উঠে। কুয়াশার গভীর আবরণে ঢেকে থাকে সবকিছু। সীমাহীন শূন্যতা ও করুণায় জীবন হয়ে ওঠে বিষাদময়। এত কিছুর পরও শীত আমাদের খুবই প্রিয় ঋতু। কেননা এসময় পিঠা-পুলির গন্ধে চারদিকে মৌ মৌ করে। গ্রামের বউ-ঝিয়েরা উনুনে ভােলা বসিয়ে চালের গুঁড়াের সাথে ডিম নিয়ে এক ধরনের পাতলা পিঠা বানায়, যা মাছের মুরুয়া দিয়ে গরম গরম খেতে খুব ভালাে লাগে। অগ্রহায়ণ মাসের শেষে কিংবা পৌষের প্রথমে আমন ধান কাটা হয়। ধান ভেনে আতপ চাল, আর আতপ চাল গুঁড়াে করে তৈরি করা হয় পিঠা। পিঠারও থাকে অনেক রকম স্বাদ। কোনাে কোনােটি ভাপে হয়। কোননা কোনােটি আবার তেলে ভাজা হয়। শীতকালে খেজুরের রস, খেজুরের গুড়, আখের গুড় পাওয়া যায়। এসব রস ও গুড়ের গন্ধই আলাদা। ভাপাপিঠা চালের গুঁড়াে, খেজুরের গুড় ও নারেকেল দিয়ে তৈরি হয়। খেজুরের রসের সাথে দুধ মিশিয়ে তার মধ্যে চিতুই পিঠা ভিজিয়ে তৈরি করা হয় রসের পিঠা। এ পিঠা খুবই মজাদার। আরও আছে সেমাই পিঠা, পুলিপিঠা ইত্যাদি। পুলিপিঠারও অনেক নাম- দুধপুলি, চন্দ্রপুলি, ক্ষীরপুলি, নারকেলপুলি ইত্যাদি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে অনেক পিঠা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের উচিত দেশের ঐতিহ্য হিসাবে সেগুলাে টিকিয়ে রাখা।
আর একটু ভালো হলে লিখতে হবে