বৃক্ষরােপণ অভিযান অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ শ্রেণি
![]() |
ছবি সূত্রঃ iStockphoto |
বৃক্ষরােপণ অভিযান
মানুষ, জীবজন্তু তথা সকল প্রাণীর জীবনধারণের জন্য গাছের বিকল্প নেই। মনােরম পৃথিবীর নয়নমুগ্ধ সৌন্দর্যের বিরাট এক অংশ অধিকার করে আছে বৃক্ষরাজি। বৃক্ষ পৃথিবীকে করে তুলেছে সুন্দর,সজীব, স্পন্দনময় শ্যামল সিগ্ধতায় ভরে দিয়েছে পৃথিবীর মৃত্তিকা বৃক্ষ। বৃক্ষ কেবল নৈসর্গিক সৌন্দর্যের উৎস নয়, বৃক্ষের প্রয়ােজনীয়তা প্রাণিকুলের অস্তিত্ব ও জীবনধারণের সাথে সম্পৃক্ত। বৃক্ষ নির্মল বায়ু ও অক্সিজেন দিয়ে প্রাণিকুলের অস্তিত্বকে সংরক্ষণ করছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে ও বেঁচে থাকার তাগিদে বৃক্ষরােপণ করার কোনাে বিকল্প নেই। অথচ আমরা বৃক্ষ রােপণের পরিবর্তে নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন করছি, ধ্বংস করছি প্রাকৃতিক বন। ফলে আমাদের দেশের পরিবেশও আজ হুমকির সম্মুখীন। এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে হলে বৃক্ষরােপণ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, শহরে সর্বত্র চালাতে হবে বৃক্ষরােপণ অভিযান। একটি দেশে শতকরা ২৫ ভাগ বনাঞ্চল প্রয়ােজন থাকলেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বনায়নের শতকরা হার মাত্র ১৭ ভাগ। বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় যে পরিমাণ বৃক্ষ পরিমণ্ডল ও বনভূমি থাকার কথা তা নেই। যা আছে তাও আবার নানাভাবে বিনষ্ট, উচ্ছেদ ও ধ্বংস হচ্ছে। বৃক্ষ উচ্ছেদের কারণে প্রকৃতির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, খরা, ঝড়-ঝঞা প্রভৃতি প্রকৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফল। এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে হলে অধিক হারে বৃক্ষরােপণ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে সর্বত্র চালাতে হবে বৃক্ষরােপণ অভিযান। বনায়ন না হলে মানুষের জীবন হুমকির সম্মুখীন হবে। কেননা যে হারে পাল্লা দিয়ে জনসংখ্যা ও কলকারখানা বাড়ছে তাতে সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার। আর এ কারণেই আমাদের দেশে বন্যা, খরা, জলােচ্ছ্বাসের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ভূমিকম্প, ভূমিধসের মতাে ঘটনাও ঘটে চলেছে অহরহ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে ভূপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। আর এতে তলিয়ে যাবে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলাে। এ বিপদ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে বৃক্ষরােপণ অভিযানে নামা উচিত।