খাদ্যে ভেজাল অনুচ্ছেদ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ শ্রেণি। Food adulteration paragraph for class 6 7 8 9 10

খাদ্যে ভেজাল
ভেজাল মানে যা খাটি নয়। অর্থাৎ কোনাে বস্তু তার স্বকীয়তা থেকে বিচ্যুত হওয়া। আর খাদ্যে ভেজাল বলতে আমরা খাদ্য পণ্যের সাথে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য মেশাননকে বুঝে থাকি। অসাধু ব্যসায়ীরা অধিক লাভের আশায় খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে থাকে। সুদূর অতীতকাল থেকেই এ প্রক্রিয়া চলে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে। গেছে। ফলে ভেজাল নেই এমন পণ্য বাজারে নেই বললেই চলে। অধিক লােভে ব্যবসায়ীরা নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে পাশবিকতায় মেতে উঠেছে। আর এসব ভেজাল পণ্য খেয়ে ভােক্তারা ডায়াবিটিস, হৃদরােগ, কিডনি অকার্যকর, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ক্যানসারসহ দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। পূর্বে ব্যবসায়ীরা কেবল খাদ্যে নিম্নমানের পণ্য মেশাতাে।
এগুলাে জনস্বাস্থ্যে তেমন কোনাে অসুবিধা করতাে না। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যে ভেজালের ক্রিয়া ও ধরনে ব্যাপকতা এসেছে। এসেছে নতুনত্ব। খাদ্যভেদে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে রাসায়নিক পদার্থ ওজন বাড়াতে বালি, পাথর কিংবা পানি, পচনশীল পণ্যের পচন রােধে ফরমালিন ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। জনস্বার্থে দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্যে ভেজাল প্রতিরােধে সক্রিয় হওয়া জরুরি। সরকার ইতােমধ্যে ভেজাল প্রতিরােধে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। উর্ধ্বমহলে উদ্যোগটি প্রশংসিত হলেও ভেজাল প্রতিরােধে এটি যথেষ্ট নয়। এজন্য প্রয়ােজন সামাজিক আন্দোলন, কেননা যে ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মেশায় তারা ভিনগ্রহের কেউ নয়। তারা আমাদের সমাজেরই লােক। আমাদেরই নিকটজন। সামাজিকভাবে তাদের বয়কট করলে খাদ্যে ভেজাল মেশাননা বন্ধ হতে বাধ্য। আর তাই আমাদের সকলের উচিত খাদ্যে ভেজাল প্রতিরােধের জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তােলা।
Its so nice to me.I like your writing.and you are so intelligent.