অনুচ্ছেদ লিখন : নারীশিক্ষা
বাংলা ২য়
নারীশিক্ষা
(অনুচ্ছেদ)
পৃথিবীতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা একান্ত দরকার। কোনাে জাতিকে শিক্ষিত হতে হলে সে জাতির নারীদেরও শিক্ষিত হতে হবে। কেননা, নারীদেরকে ছাড়া একটি জাতি অসম্পূর্ণ। অথচ আমাদের দেশে এখনাে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সুপ্রাচীন কাল থেকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক। তারা নারীশিক্ষার পথে সৃষ্টি করেছে অসংখ্য বাধার প্রাচীর। উন্নত দেশগুলােতে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষের সাথে সমানভাবে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে। সেসব দেশের নারীরা আজ আর পুরুষের করুণার পাত্র নয়। নারীশিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম। নারীশিক্ষার প্রধান অন্তরায় কুসংস্কার। সমাজ থেকে কুসংস্কারের মূলােৎপাটন করতে না পারলে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানাে সম্ভব নয়। নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চত করতে হবে।
নারী সংখ্যার অনুপাতে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে। বয়স্ক নারীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য সকলকে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য জাতীয় প্রচার মাধ্যমগুলােকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারি প্রশাসন যদি নারীশিক্ষা প্রসারে আন্তরিক হয় তাহলে দেশের মানুষ এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে। মনে রাখতে হবে, সভ্যতার বিকাশে নারীশিক্ষা প্রসারে বিকল্প নেই। বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেন সারাজীবন নারীশিক্ষার জন্য আন্দোলন করে গেছেন। নারীশিক্ষা ব্যতীত পুরুষ একাকী উন্নতির শিখরে আরােহণ করতে পারবে না। পুরুষ ও নারী একে অন্যের পরিপূরক। সুতরাং কোনাে দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষ ও নারী উভয়কেই শিক্ষিত হতে হবে। নারীশিক্ষা প্রসারের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
ধন্যবাদ আপনাকে