সৎসঙ্গ অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১১ শ্রেণি
সৎসঙ্গ
কল্যাণকামী বন্ধুরা বা সঙ্গীরা সাহায্য করে জীবনকে গড়ে তােলার জন্যে। সৎসঙ্গীরা জীবনকে অর্থবহ এবং সুন্দর করে তােলে, তাই সৎসঙ্গ চিরদিন মানুষের কাম্য। মহানবী হযরত মুহম্মদ (স) বলেছেন, “সৎসঙ্গের তুলনা আতর বিক্রেতার তুল্য। সে তােমাকে দিক বা না দিক, তুমি তার সুগন্ধি পাবেই।” জীবনে কোনাে সঙ্গী না থাকলে অসহায় অবস্থার সৃষ্টি হয়। নানা সংকটের সময়ে সঙ্গী বা সুহৃদের সহায়তা অনেক উপকারে আসে। বুদ্ধি পরামর্শ ও সহায়তার মাধ্যমে বন্ধুর সমস্যা দূর করে যথার্থ সৎসঙ্গীর পরিচয় দেয় মানুষ। তাই সৎসঙ্গীর প্রয়ােজনীয়তা মানবজীবনকে তাৎপর্যমণ্ডিত করে তােলে। যেখানে নিজের বুদ্ধি কুলিয়ে উঠতে পারে না, সেখানে সৎসঙ্গীর পরামর্শ অনেক সময় সাফল্য এনে দিতে পারে। কিন্তু সঙ্গী যদি অসৎ হয় তবে ফল হতে পারে তার বিপরীত। মানুষের জীবন অন্যের ওপর নির্ভরশীল বলে তাদের সঙ্গী ছাড়া চলে না।
অনেকেই বন্ধুর ছদ্মবেশ ধারণ করে সর্বনাশ করার জন্যে এগিয়ে আসে। ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’– এই সুপ্রাচীন প্রবাদ থেকে মানবজীবনে সৎসঙ্গের প্রয়ােজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই সৎসঙ্গ লাভের জন্যে বন্ধু নির্বাচনের প্রশ্নটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যাদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতে হবে তাদের আচার-আচরণ, তাদের কার্যকলাপ, তাদের প্রকৃতি ও প্রবৃত্তি সম্পর্কে আগেই ধারণা নিতে হবে। সমমনা না হলে সৎসঙ্গ আশা করা যায় না। সৎসঙ্গের কল্যাণে সামাজিক পরিবেশ সুন্দর হয়। মানুষ সেখানে সুখের সন্ধান পায়। জীবনের গঠনে, জীবনের বিকাশে এবং জীবনযাপনে সৎসঙ্গের উপকারিতা ও গুরুত্ব অনেক।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।