অনুচ্ছেদ

স্বাস্থ্যরক্ষা । অনুচ্ছেদ । বাংলা ২য়

Daraz cupon Code
1.2/5 - (4 votes)
স্বাস্থ্যরক্ষা । অনুচ্ছেদ
স্বাস্থ্যরক্ষা অনুচ্ছেদ

স্বাস্থ্যরক্ষা অনুচ্ছেদ

কথায় বলে, স্বাস্থ্যই সম্পদ। আর স্বাস্থ্যরক্ষার মাধ্যমে এই সম্পদ অর্জন করা যায়। মানবজীবন কর্মময়। কর্মের মধ্যেই মানবজীবনের সার্থকতা নিহিত। স্বাস্থ্য ভালাে না থাকলে কোনাে কাজেই মন বসে না। একজন স্বাস্থ্যহীন লােকের কাছে ধন-দৌলত, টাকা-পয়সা সবই নিরর্থক। সে তার স্বাস্থ্যহীনতার জন্য জীবনে কখনাে সুখ ও আনন্দ অনুভব করতে পারে না। সুস্থ দেহই সুস্থ মনের নিশ্চয়তা দেয়। তাই স্বাস্থ্যরক্ষা বলতে শারীরিক ও মানসিক উভয় প্রকার স্বাস্থ্যকেই বােঝায়। 

অনেকে আবার দেহে কোনাে প্রকার রােগ না থাকাকেই শারীরিক সুস্থতা বলে মনে করে। কিন্তু স্বাস্থ্যের অর্থ আরও ব্যাপক। শারীরিক সুস্থতার প্রথম কথা হল দেহে কোনাে প্রকার রােগ না থাকা। দ্বিতীয়ত, স্বাভাবিক ও সুস্থ অবস্থায় কাজকর্ম করার মতাে শারীরিক সামর্থ্য থাকা। তৃতীয়ত, দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম যথাযথভাবে সম্পন্ন করা এবং দেহের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হওয়া। এর সঙ্গে সঙ্গে যে বিষয়টি জড়িয়ে আছে তা হল মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি। অর্থাৎ লক্ষ রাখতে হবে যে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে কাজের প্রতি অনীহা আসছে কিনা, মন বিষন্নতায় ভুগছে কিনা, কর্মময় জীবনের মধ্য দিয়ে সুখ ও আনন্দ লাভ হচ্ছে কিনা। 

বস্তুত কোনাে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে মানসিকভাবেও সে সুস্থ থাকে। মানুষের শরীর ও মন ভালাে থাকলে সে কাজকর্মে আনন্দ পায় এবং বেঁচে থাকার মধ্যেও আনন্দ ও বৈচিত্র্য অনুভব করে। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য শৈশব থেকেই আমাদের শরীরের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যহীনতার অন্যতম কারণ হল দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা এবং মা ও শিশুর অপুষ্টি। শৈশব অবস্থায় যে শিশু অপুষ্টিতে ভােগে, বড় হয়ে সে কখনাে স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে না। অপুষ্টির কারণে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি দুটোই ব্যাহত হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানসিক অবস্থার। শিশু দেহ-মনে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে না ওঠার কারণে সে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না।

পারিপার্শ্বিক অবস্থা যেমন- চারদিকের গাছ-লতা-পাতা, পশুপাখি, নানা মানুষের নানা পদ্ধতির জীবনযাত্রা সম্পর্কে তার মধ্যে কোনাে কৌতূহল সৃষ্টি হয় না। ফলে নিত্য-নতুন জিনিসকে সে যেমন চিনতে, জানতে ও শিখতে পারে না, তেমনি সেসব বিষয় মনেও রাখতে পারে না। তাই মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button