নবম শ্রেণি রসায়ন (Chemistry) ৪র্থ সপ্তাহ | Assignment 2021 Question & Solution

প্রিয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, তোমরা ইতোমধ্যেই তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পেয়েছো। দীর্ঘ লকডাউনের পর তোমাদের চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ নবম শ্রেণীর রসায়ন চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট .২০২১ এর নির্ধারিত কাজ এবং নমুনা উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। সর্বপ্রথমে চলো দেখে নেয়া যাক রসায়ন চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টএ কি কি থাকছে।
তোমাদের রসায়ন পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায় “রসায়নের ধারণা” থেকে একটি নির্ধারিত কাজ দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত কাজ

নমুনা উত্তর
(এখানে প্রতিবেদনের মূল অংশটি দেওয়া হয়েছে। তোমারা প্রতিবেদনের নিয়ম অনুসারে লিখবে)
বিজ্ঞানের একটি শাখা হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। রসায়ন প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে পদার্থের গঠন, পদার্থের ধর্ম এবং পদার্থের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ বিশ্ব যখন সৃষ্টি হয়েছিল তখন থেকেই রসায়ন এর যাত্রা শুরু। যেদিন থেকে দুটি পাথরকে ঘষে মানুষ আগুন জ্বালাতে শিখল সে সময় থেকেই এ রসায়ন এর উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে।
যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার বলে। তাই যেখানে রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বলে। রসায়ন পরীক্ষাগারে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য থাকে। এসব রাসায়নিক দ্রব্য অনেক সময় বিস্ফোরক জাতীয় আবার কোনটি দাহ্য এবং কোনটি আবার শারীরিক ক্ষতি করে থাকে। রসায়ন পরীক্ষাগারে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় তার অধিকাংশই হলো কাচে তৈরি। তাই রসায়ন পরীক্ষাগারে প্রবেশ থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে প্রয়োজন হয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। যখনই এর ব্যতিক্রম ঘটে তখনই বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন এসিড পড়ে শরীরের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে, পোশাকে পড়লে পোশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রসায়ন গবেষণাগারে অগ্নিকাণ্ড বিস্ফোরকসহ নানা ধরনের ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শরীরকে রক্ষা করতে একদিকে যেমন প্রয়োজন গবেষণাগারের জন্য নিরাপদ পোশাক অন্যদিকে প্রয়োজন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা। সুতরাং রাসায়নিক গবেষণা করার পূর্বেই জেনে নিতে হবে রাসায়নিক দ্রবটি কোন প্রকৃতির। সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয়। রাসায়নিক দ্রব্যের বোতলে বা কৌটায় এক ধরনের সর্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। যাতে দ্রব্যটির ধরন, ঝুঁকি, ঝুকির মাত্রা সম্পর্কে জানা যায়।
নিচে পাঁচ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা ও সংশ্লিষ্ট সতর্কতামূলক সাংকেতিক চিহ্ন উল্লেখ করে তা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হলঃ
সাংকেতিক চিহ্ন | পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা ও সাবধানতা |
![]() পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর (Dangerous for environment) | এসব চিহ্নধারী পদার্থগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের পদার্থ গুলো হল লেড, মার্কারি ইত্যাদি। তাই এগুলো ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সতর্কতার প্রয়োজন। ব্যবহারের পর এগুলো যেখানে সেখানে না ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। |
![]() স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ (Health risk substance) | এ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি সাধন করে। এমনকি ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ হতে পারে। এ ধরনের পদার্থ গুলো হল বেনজিন ও ন্যাপথালিন। তাই এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অবশ্যই এপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস এগুলো পড়ে নিতে হবে। |
![]() ক্ষত সৃষ্টিকারী (Corrosive) | এ চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে। তাছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে ভেতরে অঙ্গের ক্ষতিসাধন করতে পারে। যেমনঃ হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের ঘন দ্রবণ।তাই এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অবশ্যই এপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস এগুলো পড়ে নিতে হবে। |
![]() তেজস্ক্রিয় পদার্থ (Radioactive substance) | এসব পদার্থ থেকে ক্ষতিকারক রশ্মি বের হয় যা ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে অথবা বিকলংক করে দিতে পারে। এ ধরনের পদার্থ হল ইউরোনিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ। তাই এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অবশ্যই এপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস এগুলো পড়ে নিতে হবে। |
![]() উত্তেজক পদার্থ (Irritant substance) | এধরনের উত্তেজক পদার্থ চোখ শ্বাসতন্ত্র ইত্যাদির ক্ষতি করে। যেমন সিমেন্ট ডাস্ট, লঘু এসিড ইত্যাদি উত্তেজক পদার্থ।তাই এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অবশ্যই এপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস এগুলো পড়ে নিতে হবে। |
সাংকেতিক চিহ্ন আকঁতে হবে?
Thank you.5th week er taw druto anben.