Uncategorized

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা সপ্তম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

Daraz cupon Code
Rate this post
কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা সপ্তম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

 কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা সপ্তম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

নির্ধারিত কাজঃ

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা সপ্তম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

ঘর সাজানাের ক্ষেত্রে তুমি যে সকল জিনিস নিজে তৈরি করতে পার। তার একটি তালিকা প্রস্তুত কর। প্রদর্শিত তালিকার জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা সপ্তম শ্রেণি ১৫ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

ফেলনা জিনিস দিয়ে নানা রকম সৃজনশীল ঘর সাজানাের সামগ্রী তৈরি করা যায়। এছাড়া নিত্যপ্রয়ােজনীয় সামগ্রীও তৈরি করা যায়। অর্থ ব্যয় করে এসব জিনিস না কিনে খুব সহজেই ফেলনা সামগ্রী দিয়ে প্রস্তুত করা যায়। ঘর সাজানাের ক্ষেত্রে আমি যে সকল জিনিস নিজে তৈরি করতে পারি তার তালিকা নিম্নে উপস্থাপন করা হলােঃ 

১) অপ্রয়ােজনীয় বােতলের উপর লেইস, সুতা দিয়ে বােতল শােপিস। 

২) কাচের বােতলের ভেতরে ম্যাজিক বাবল, পাথর, নিজের পছন্দের কোন চরিত্র দিয়ে উইশিংবটল। 

৩) অব্যবহার্য শাড়ি, ওড়না, বেডশিট দিয়ে টেবল ম্যাট। 

৪) পুরানাে কাচের জাগ বা কাচের বয়ামে টুনি বাল্ব ভরে আলাে জ্বেলে দিলে হয়ে উঠে রঙিন শােপিস। 

৫) পুরানাে জামদানী, নকশি করা কোন কাপড়ের টুকরােকে ফ্রেমিং করে বানাতে পারি অসাধারণ ওয়ালপিস। 

৬) টয়লেট পেপার রােল দিয়ে পেন্সিল হােল্ডার। 

৭) টিস্যু পেপার রােল দিয়ে ওয়াল আর্ট। 

৮) প্লাস্টিকের বােতল দিয়ে কিটি টব।

৯) টয়লেট পেপার রােল দিয়ে প্যাঁচা। 

১০) টিস্যু রােল দিয়ে ঘর সাজানাের ডিআইওয়াই। রঙধনুর সবকটি রঙ দিয়ে ঘরকে সাজানাে যায় রঙিন আলােয়।

উপরের উল্লেখিত জিনিস তৈরির ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা থাকার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। নিজের মেধা-মনন ব্যবহার করে নিত্য-নতুন কোন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করা সৃজনশীলতার সাথে সম্পৃক্ত। সৃজনশীলতা বলতে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, নতুন উপায়ে কাজ করকে বুঝায়। দৈনন্দিন জীবনে মানুষ অনেক জিনিস ব্যবহার করার পরে ফেলনা হিসেবে ফেলে দেয়। কিন্তু নিজের মেধা ব্যবহার করে চাইলে তা থেকে নতুন কিছু সৃষ্টি করা যায় আর সেই সাথে নিজের সৃজনশীলতার ও বিকাশ ঘটে। যা আমাদের জীবনকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তােলে। সৃজনশীলতা বিকাশের কারণে সভ্যতা উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। জীবন হচ্ছে নিরাপদ ও আরামদায়ক। সৃজনশীলতার গুণে মানুষ নতুন কিছু করার চিন্তা করে এবং সাধনার ফসল স্বরূপ নতুন কিছু উদ্ভাবন করে। একটা সময় মানুষ ফেলনা জিনিস ফেলে দিতাে। কিন্তু এখন নানা ঘর সাজানাের সামগ্রী তৈরি করছে। ফেলনা জিনিসের রিসাইক্লিং হওয়াতে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে না। আবার নিজের ঘরে নান্দনিকতা বাড়ছে এবং মনও প্রফুল্ল থাকছে, একঘেয়েমি দুর হচ্ছে। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ঘর সাজানাের জিনিস ক্রয় না করে খুব অল্প সময়ে হাতের কাছে থাকা ফেলনা জিনিস দিয়ে ঘর হয়ে উঠছে রঙিন। আর এসকল নিত্যনতুন উদ্ভাবনের জন্য প্রয়ােজন সৃজনশীলতা, যা আমাদের চারপাশের তাকালেই স্পষ্ট হয়ে উঠে। সভ্যতার উন্নতির জন্য সৃজনশীলতার প্রয়ােজনীয়তা আর বাড়িয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না।


 এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন। 

মন্তব্য করুন

Back to top button