অনলাইন নিউজ ডেস্ক/
জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে শুক্র ও শনিবার হলেও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা দেওয়ার কথা বললেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। মিলন বলেন। তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার সারা দেশের অফিস-আদালত বন্ধ থাকে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও এ দুই দিন এসএসসি পরীক্ষার্থী, এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া যেত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না থাকায় এ কথাই প্রতীয়মান হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের শেখানোর কোনো ইচ্ছা নেই সরকারের।এভাবে একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।
শুক্র ও শনিবার সারা দেশের অফিস-আদালত বন্ধ থাকে। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও এ দুই দিন এসএসসি পরীক্ষার্থী, এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া যেত। – সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত বছর যখন করোনার প্রকোপ কম ছিল সরকার তখন পর্যটনসহ প্রায় সব খাত খুলে দিয়েছিল কিন্তু বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকার বলেছিল সংক্রমনের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে তবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। যদিও গত বছর সংক্রমণে নিম্নহার থাকলেও খোলা হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এহছানুল হক মিলন বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির না হোক, দশম শ্রেণিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করানো যেত পারতো।কইভাবে কলেজ পর্যায়ে দ্বাদশের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে এনে পড়ানো যেত। তাহলে পরীক্ষাও যথাসময়ে নেওয়া যেত, অটো পাস দিতে হতো না। সরকারের অদূরদর্শিতার কারণে এসব সিদ্ধান্তও নেওয়া সম্ভব হয়নি। পড়াশোনার চিন্তা বাদ দিয়ে সরকার এখন শুধু পরীক্ষার কথা চিন্তা করছে।
অনলাইন নিউজ ডেস্ক/ঢাকা প্রতিনিধি/