ধৈর্য ধর ধৈর্য ধর, বাঁধ বাঁধ বুক
সংসারে সহস্র দুঃখ আসিবে আসুক
পৃথিবীতে যেমন সুখ আছে তেমনি দুঃখও আছে। সুখ-দুঃখ ঘেরা মানুষের জীবন। জগতের প্রতিটি মানুষ সুখ প্রত্যাশী। দুঃখকে জয় করার মধ্যেই সুখ নিহিত। আর এ সুখ পেতে হলে সংসার সাগরের দুঃখ তরঙ্গ অতিক্রম করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ধৈর্য ধারণ করা।

সুখের বা আনন্দের স্পর্শ পেতে হলে অনেক দুঃখকষ্ট, নিরানন্দময় পরিবেশের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হতে হয়। ঝড়-ঝঞ্ঝা, দুঃখকষ্ট দেখে পিছপা হলে সাফল্যের স্বর্ণমার্গে মাথা তুলে দাঁড়ানো কখনোই সম্ভব হয় না। মুখ বুজে ধৈর্য ধরে কাজ করে গেলে সেই কাজের সুফল একদিন অবশ্যই লাভ করা যায়। দুঃখের আঁধার এক সময় কেটে ভেসে ওঠে সুখের সোনালী সকাল। জাগতিক পরিধিতে সংসার জীবনে অনেক অভাব দেখা দেয়, অনেক দুঃখ এসে ভিড় করে। এসময় দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। ধরতে হবে ধৈর্য, আশায় বাঁধতে হবে বুক এবং করতে হবে প্রাণান্তকর চেষ্টা। কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে। তাই আমাদের উচিত দুঃখকষ্টে দিশেহারা হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে ধৈর্য ধারণ করা। ধৈর্য হলো দুঃখ সাগরের ভেলা, সাফল্যের বীজমন্ত্র, সুখ লাভের পরশ পাথর। পৃথিবীতে যত সফলতা ও বিজয় সূচিত হয়েছে, তার পেছনে রয়েছে অসীম ধৈর্য। দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য ও আস্থার সাথে কাজ করলে,সাধনায় মগ্ন হলে সেটাতে সফলতা আসবেই। আবার যে কোনো কাজ শেষ করার সাথে সাথেই ফলের প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। ভালো ফলের জন্যও ধৈর্য ধারণ করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ও সংযমের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
আমরা কাজ শেষ হতে না হতেই ফলের প্রত্যাশায় অস্থির হয়ে উঠি। হাতে হাতে ফল পাওয়ার এ প্রবণতা আমাদের পরিহার করা উচিত। কেননা তাতে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি যেমন হয়, তেমনি সমাজও অস্থিরপ্রবণতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যিনি ধৈর্য ধরে নিবিষ্ট মনে আপনার কাজ করে যান সাফল্য তার কাছে এক সময় ধরা দিবে।