চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারা বছরই মুখে ব্রণ দেখা যায়। কিন্তু পিঠের ব্রণ প্রধানত গ্রীষ্মকালে হয়।
অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। ব্রণ নিয়ে শুধু নারীরা নয়, পুরুষরাও অস্বস্তিতে থাকেন। ব্রণ প্রধানত গ্রীষ্মে বেশি হয়ে থাকে। ব্রণ প্রধানত ধুলোবালি, অতিরিক্ত দূষণ, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে ত্বকে প্রভাব ফেলে। তবে ব্রণ শুধু মুখেই নয় পিঠেও দেখা দিতে পারে। পিঠের ব্রণ নিয়ে অনেকেরই দুচিন্তায় থাকেন। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, সারা বছর ব্রণ দেখা গেলেও গ্রীষ্মকালে ব্রণ মূলত পিঠে প্রভাব ফেলে। পিঠের ব্রণ অত্যন্ত অস্বস্তিকর। পোশাক পরিধান করার ফলে গরমে পিঠে অনেক ঘাম হয় এবং এতে শরীর তৈলাক্ত হয়ে যায়।
![]() |
সারা বছরই মুখে ব্রণ দেখা যায়। কিন্তু পিঠের ব্রণ প্রধানত গ্রীষ্মকালে হয়। |
তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে পিঠের ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অনেক সহজে
১। গরম কিংবা শীত, অনেকেই আছেন নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকেন। শারীরিক ব্যায়ামের ফলে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। ত্বকে ঘাম জমে ঘর্মগ্রন্থিগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সেখান থেকেই পিঠে ব্রণ ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যা শুরু হয়।
২। এই গরমে টাইট-ফিট পোশাক পরিহার করা উচিত। তার বদলে ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরা ভালো। টাইট-ফিট পোশাক পরলে শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় এবং ত্বকে ব্রণ ও ফুসকুড়ির মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৩। মৃত কোষ জমেও ব্রণ হতে পারে। তাই প্রতি সপ্তাহে পিঠের ত্বক ভালোভাবে ঘষে মৃত কোষগুলো পরিষ্কার করে নিতে পারেন। না হলে মরা চামড়া জমে সমস্যা আরও বাড়বে।
৪। যদি পিঠের ত্বকে ব্রণ খুব অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে, তাহলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।