![]() |
মূল্যবোধ অনুচ্ছেদ |
মূল্যবোধ
অনুচ্ছেদ
মূল্যবােধ হলাে মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদন্ড। যে সব ধ্যানধারণা, বিশ্বাস, লক্ষ্য উদ্দেশ্য, সংকল্প মানুষের আচার-আচরণ এবং কার্যাবলিকে পরােক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, সেগুলাের সমষ্টিই হলাে মূল্যবােধ। আর যে শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটে তাই হলাে মূল্যবােধ শিক্ষা। মূল্যবােধ হলাে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি। একটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষতার অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে মূল্যবোেধ ভূমিকা পালন করে। মূল্যবােধ শিক্ষা ব্যক্তির মানসিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। মূল্যবােধ এভাবে ব্যক্তিসত্তার বিকাশ সাধন করে সুশাসনের পথকে প্রশস্ত করে এবং সামাজিক অবক্ষয়ের অবসান ঘটায়। অন্যদিকে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিবােধ, পারিবারিক ও সামাজিক ভূমিকা শৈথিল্য, ব্যক্তিস্বার্থের প্রাধান্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর অধিক নির্ভরশীলতা প্রভৃতি মূল্যবােধের অবক্ষয়ের নিয়ামক। স্থান, কাল ও জাতিভেদে মূল্যবােধের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আবার একই সমাজে বিভিন্ন প্রকার মূল্যবােধ প্রতিষ্ঠা পায়। যেমন- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবােধ, মানবিক মূল্যবােধ, রাজনৈতিক মূল্যবোধ, সাংস্কৃতিক মূল্যবােধ, ধর্মীয় মূল্যবােধ, নৈতিক মূল্যবােধ ও ব্যক্তিগত মূল্যবােধ প্রভৃতি। মূল্যবােধের পরিবর্তনের ফলে বয়সের সাথে সাথে আদর্শিক, ধর্মীয় ও পবিত্র বিষয়গুলাে জাগ্রত হয়। মূলত এটি ব্যক্তিজীবনের গাইডলাইন হিসেবে ভূমিকা পালন করে