১. ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে?
২. কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন?
৩. ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান(BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন?
৪. কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?
৫. এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে?
প্রশ্ন ১ এর উত্তরঃ
কৃষিতে বিজ্ঞানীদের অবদান অনেক। বিজ্ঞানীদের দীর্ঘকালের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের বর্তমান ফসল হচ্ছে আজকের এই আধুনিকায়ন কৃষি। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব্যবস্থার যতই উন্নতি সাধিত হচ্ছে ততই নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষণার ফলে কৃষি বিষয়ক নানান তথ্য আবিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে। ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদান রয়েছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা পরিবেশ-জলবায়ু, মাটির ধরণ, পানি, উৎপাদন পদ্ধতি এসব বিষয় বিবেচনায় এনে উচ্চতর গবেষণা করেছেন।
প্রশ্ন ২ এর উত্তরঃ
অন্যান দেশের মত বাংলাদেশেও ব্যাপক হরে কৃষি গবেষণা হচ্ছে। কৃষি গবেষণাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশে ৪টি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করা হয়।
প্রশ্ন ৩ এর উত্তরঃ
বাংলাদেশের কৃষি গবেষণার একটি প্রধান অঙ্গ হচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা দেশের প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদন ও জাত উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬টি (৯৯টি ইনব্রিড ও ৭টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান(BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন তার নাম উল্লেখ করা হলঃ
সুত্রঃ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট
প্রশ্ন ৪ এর উত্তরঃ
কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও নানা ধরনের ফুল, ফল, শাকসবজি , মুরগি, গরু, মাছ ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন। এগুলাের সাথে সংকরায়ণ করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন, যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে। কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। উৎপাদন বৈচিত্র্য বাড়ছে। সেই সাথে প্রতিযােগিতাও বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে পুঁজির ব্যবহার । মাছ, মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌছে গেছে। শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জনের চাহিদা গ্রামীণ জনজীবনে দ্রুতই বেড়ে চলেছে।
প্রশ্ন ৫ এর উত্তরঃ
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি আমাদের প্রাচীন পেশা। কৃষি নির্ভর এই দেশে দিন দিন বাড়ছে কৃষির চাহিদা। কৃষি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রাচীনকাল থেকে কৃষিকাজ মানুষের প্রধান পেশা। বর্তমানেও এটি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের প্রধান উপজীবিকা।সুতরাং প্রাচীন পেশা হিসেবে এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।কৃষিকাজ মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড (Primary economic activity)।অধ্যাপক জিমারম্যানের (১৯৫১), মতে কৃষিকাজ মানুষের এক বিশেষ ধরনের অর্থনৈতিক প্রচেষ্টা ও একটি উৎপাদনমুখী কাজ।তাই বলা যায়, এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এত
এড কেন, বাল। নিচের এ্যাডটা মিনিমাইজ করার সিস্টেম করেন
রিমন ভাইয়ের কাছে জানতে চাই, আপনি মাসে কত টাকা উপার্জন করেন। একান্ত ব্যক্তিগত না হলে জানাবেন।
Ads Bondo Korer System Bolen………
Ato Ads Valo Na
Ek dom thik
This ads support's them to run this website .