![]() |
ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ে প্রতিবেদন |
ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
সচেতনতা রক্ষা করবে ভূমিকম্পের হাত থেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট।
নদীমাতৃক এদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলাের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। ঝড়, বন্যা, সাইক্লোন, খরা ইত্যাদি এদেশে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলাের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এটি হঠাৎ করে আঘাত হেনে মুহুর্তের মধ্যেই পুরাে দেশটাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে ভূমিকম্পের মাত্রার উপর। বাংলাদেশের অবস্থান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে হওয়ায় কিছুদিন পরপরই ছােট ছােট মাত্রার ভূমিকম্প অনুভব হচ্ছে। বিগত বছরগুলাের মধ্যে দুই এক বার আমাদের দেশ ভূমিকম্পের কেন্দ্রে অবস্থান করেছিল। তবে মাত্রা খুব বেশি ছিল না বলে ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলক কম হয়েছে যা আমাদের সকলের জন্য অবশ্যই মঙ্গলজনক।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রে থাকা দেশগুলাে পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। তবে, আমাদের দেশে এখন বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বেড়ে গেছে। এর কারণ আমাদের প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা ও ভৌগােলিক অবস্থান। ভূমিকম্প কখন হবে আমরা কেউ তা জানি না। এটি বহু গবেষণার পরও পূর্ব থেকে অনুমান করা এখনাে দুঃসাধ্যই রয়ে গেছে। তাই এটি প্রতিরােধ করার কোনাে উপায়ও নেই। তবে আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি। যেমনঃ
- ভূমিকম্পের পর ‘আফটার শক’ হতে পারে, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকতে পারি।
- নিজেদের কাছাকাছি টর্চ লাইট, পানি ও শুকনাে খাবার রাখতে পারি।
- গাড়ির ভেতরে থাকলে অবশ্যই গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ভেতরেই অবস্থান করতে পারি।
- ঘরের শক্ত ডেস্ক বা টেবিল থাকলে মাথার উপর বালিশ দিয়ে এগুলাের নিচে আশ্রয় নিতে পারি।
- ঘরের দিকের দেওয়াল বা প্লারের কাছাকাছি অবস্থান করতে পারি।
- বিদ্যুৎ সংযােগ বন্ধ করে দিতে পারি।
- হেলমেট বা অন্য শক্ত কিছু থাকলে মাথায় তা পরে নিতে পারি।
- যদি সম্ভব হয় ঘর থেকে বের হয়ে উন্মুক্ত কোথাও অবস্থান নিতে পারি।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
