স্বার্থপরতা মানব জীবনে উন্নতির পথে অন্যতম প্রতিবন্ধক
ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যস্ত থাকায় শান্তি নেই; বরং পরার্থপরতাই উন্নতির অন্যতম বান্ধব।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সে উন্নয়ন প্রত্যাশী। ধৈর্য, অধ্যবসায়, সত্যবাদিতা, পরার্থপরতা প্রভৃতি চরিত্রের সুকুমার বৃত্তিসমূহ উন্নতির অন্যতম হাতিয়ার। আর উন্নতির পথের অন্তরায়গুলাের মধ্যে অমিতাচার, আত্ম-অহঙ্কার, বিলাস বিহার সর্বোপরি স্বার্থপরতা অন্যতম। স্বার্থপরতা মানুষকে পদে পদে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এটি জীবনের সীমাবদ্ধ রূপ। কিন্তু মানুষ শুধু ভােগ-বিলাস ও স্বার্থের জন্যই জন্মগ্রহণ করেনি। পরের কল্যাণে জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্যেই জীবনের চরম ও পরম সার্থকতা। জগতের সাধু ও মহৎ ব্যক্তিগণও তাই করেন। তারা সর্বদা নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পরের হিত সাধনে ব্যাপৃত থাকেন। তা ছাড়া, স্বার্থপর মনে করে সমস্ত জগতটা তার একার উপভােগ্য। সকলকে বঞ্চিত করে সে বড় হতে চায়। ফলে বিদ্বেষ, অমিল, কলহ, হিংসা মনুষ্য জীবনকে কলুষিত করে। পক্ষান্তরে, ব্যক্তিস্বার্থ পরিহারের মাধ্যমে মানুষের জীবন সুন্দর ও সার্থক হয়ে উঠে। উচ্চারণ করতে পারে
“আত্মসুখ অন্বেষণে আনন্দ নাহিরে
বারে বারে আসে অবসাদ পরার্থে যে করে কর্ম ঘর্মনীড়ে
সেই লভে স্বর্গের প্রসাদ।”
মন্তব্য : আত্মার স্বাত্বিক তৃপ্তির কাছে জড়দেহের সুখ ভােগ মূল্যহীন। স্বার্থপরতার পাষাণ প্রাচীরে কখনােই সুখের অমনিবাস তাে দূরের কথা, অভিষেকই হতে পারে না।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
