অনেকেই স্নায়ুর সমস্যায় ভোগেন। শরীরে ভিটামিনের অভাব হলেই এই রোগ দেখা দেয়?
শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। এর পর্যাপ্ত মাত্রা শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তা ছাড়া এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন ডি হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশকে উৎসাহিত করে।
অনেকসময় শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ সবসময় পর্যাপ্ত থাকে না। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। শরীরের বেশ কিছু চিহ্ন দেখে বুঝা যায় ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কমে গেলে তা মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলে। ছবিঃ iStockphoto |
ভিটামিন ডি কম থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। পেশীতেও একই কারণে টান পড়তে পারে। ক্লান্তি ভিটামিন ডি এর অভাবের আরেকটি লক্ষণ। হাড়ের ব্যথা, চুল পড়ার উপসর্গও ভিটামিন ডি-এর অভাব নির্দেশ করে।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কমে গেলে তা মস্তিষ্কেও প্রভাব ফেলে। এই ভিটামিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতায়ও অবদান রাখে। ভিটামিন ডি এর অভাবে স্নায়বিক রোগ হয়। ‘নিউরোসাইকোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার’, ‘নিউরোডিজেনারেটিভ’ এর মতো রোগ হতে পারে। গবেষণা পরামর্শ দেয় যে ভিটামিন ডি নিউরোস্টেরয়েড হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, অ্যালঝাইমারস, পারকিনসন্স, নিউরোকগনিটিভ ডিসঅর্ডারের মতো স্নায়বিক রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ভিটামিন ডি এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে এই ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন। ডিম, দুধ, সামুদ্রিক খাবার, বিভিন্ন ফল, মাংস, পনির, ব্রোকলি, ডিমের কুসুম এসব খাবার ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। সুস্থ থাকতে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।