(২)
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ,
নিরবে ফিরে যাওয়া অভিমান-ভেজা চোখ,
আমাকে গ্রহণ করো।
উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখ্যান,
আমি সেই অনিচ্ছা নির্বাসন বুকে নেওয়া ঘোলাটে চাঁদ।
আমাকে আর কি বেদনা দেখাবে?
(৩)
স্বাধীনতা, সে আমার – স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন –
স্বাধীনতা – আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
(৪)
আমি খুব গাঢ় ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বুকের মাটিতে
পৃথিবীর মতো সুঠাম দাঁড়িয়ে থাকা অবিচল তনু
আমাকে এতটা অসহায়, এতো ম্রিয়মান ভাবো কেন?
(৫)
আমাদের বাসনায় ছিলো কিছু ভুলবোধ
প্রাপ্যের পূর্ণতা তাই এতো মনে হয়
নিঃস্ব করুণ
তাই এতো পাওয়াকেও মনে হয় ব্যর্থতা, মনে হয় ম্লান।
(৬)
আমি দূরে যাই-
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে…
(৭)
কথা ছিলো, চিল-ডাকা নদীর কিনারে একদিন ফিরে যাবো।
একদিন বট বিরিক্ষির ছায়ার নিচে জড়ো হবে
সহজিয়া বাউলেরা,
তাদের মায়াবী আঙুলের টোকা ঢেউ তুলবে একতারায়-
একদিন সুবিনয় এসে জড়িয়ে ধ’রে বোলবে: উদ্ধার পেয়েছি
(৮)
তোমাকে অনুবাদ করেছি স্বপ্নে।
তোমাকে অনুবাদ করেছি তৃষ্ণায়।
তোমাকে অনুবাদ করেছি উদাসিনতায়।
(৯)
ভুল ভেঙ্গে গেলে ডাক দিও,
আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন
ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয়নাম
ভালোবাসা
(১০)
জানি না কখন এইসব স্মৃতি, এসব দৃশ্য
ছায়ার মতোন বেঁধেছি শরীরে বকুলের লাশ!
জেগে দেখি চাঁদ ক্লান্ত দুচোখে মাখে রাত্রির গোপন কাজল
কুয়াশার জল
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ উক্তি – বাণী
পর্ব ১। পর্ব ২ । পর্ব ৩ | পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬