![]() |
যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত অসহনীয় দুর্ভোগ পােহাতে হয়। |
যানজট নিরসনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন পত্র লেখ।
বিভাগঃ প্রতিবেদন
তারিখঃ ১৪ জুন ২০১৯
বরাবর
সম্পাদক,
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল এভিনিউ
ঢাকা-১২১৫।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত, জননন্দিত ও স্বনামধন্য ‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় ‘চিঠিপত্র’ কলামে নিন্মোক্ত সমস্যাটি প্রকাশ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা করলে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
বিনীত
‘ক’
ফার্মগেট, তেজগাঁও
ঢাকা।
যানজটে নাভিশ্বাস নগরজীবন
ঢাকা মহানগরী দেশের প্রাণকেন্দ্র। এ নগরী জনবহুল রাজধানীও বটে। কিন্তু বর্তমানে এ শহরের যানজট একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত অসহনীয় দুর্ভোগ পােহাতে হয়। সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অপচয় করতে হচ্ছে। নগরীর ব্যস্ততম এলাকা বিশেষ করে নর্থসাউথ রােড, জনগণ রােড, মগবাজার, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, গুলিস্তান এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই আছে। তাছাড়া দৈনন্দিন কাজেকর্মে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বিশেষ করে রােগী বহনকারী গাড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গন্তব্যে পৌছাতে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হয়। এতে জীবননাশেরও সম্ভবনা থাকে। কিন্তু এ অবস্থা নিরসনে কোনাে উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না। অতএব, যানজট নিরসনের জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মনে হয়। পদক্ষেপগুলাে হলাে :
খ. গাড়ির সংখ্যা ও পরিমাণ বিশেষ করে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি।
গ. প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মােড়ে বহুমুখী ফ্লাইওভার নির্মাণ করা।
ঘ. বেশিরভাগ রাস্তাকে একমুখী বা ‘ওয়ানওয়ে’ করা ও ক্রসিং কমিয়ে দেওয়া।
ঙ. শহর থেকে কিছু স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত শহরের বাইরে স্থানান্তর করা।
চ. ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলাে স্বয়ংক্রিয়ভাবে না চালিয়ে প্রতিটি পয়েন্টে উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ অথবা রিমােট কন্ট্রোল সিস্টেম করলে অনেকাংশে যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
ছ. পাতাল রেলের ব্যবস্থা করতে হবে।
জ. বহুল ব্যবহৃত রাস্তাগুলাে প্রশস্ত করতে হবে।
ঝ. রাস্তার দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে।
‘ক’
ফার্মগেট, তেজগাঁও
ঢাকা।