অপসংস্কৃতি
অপসংস্কৃতি জাতির এক মানসিক ব্যাধি। অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যবিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। বর্তমানে আমাদের দেশে সংস্কৃতির অবক্ষয় বা অপসংস্কৃতি দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমাদের দেশে সংস্কৃতির অবক্ষয় বা অপসংস্কৃতি দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সৎকার্য ও সৎচিন্তার মধ্য দিয়ে প্রকৃত ধর্মকার্য আজ অনুপস্থিত, ধর্মের নামে লােক-দেখানাে কিছু আচার-অনুষ্ঠানের প্রাধান্য লক্ষ্যের চেয়ে উপলক্ষকে বড় করে তুলেছে। এছাড়া, শিক্ষার নামে কুশিক্ষা, সমাজসেবার নামে দলাদলি, সঙ্গীতের নামে সঙ্গীতহীন কতক হৈচৈ এবং বেশভূষার নামে হাস্যকর কিছু অনুকৃতি সাংস্কৃতিক জীবনে গ্লানি ও মিথ্যাচারকে পুঞ্জীভূত করছে। বিদেশি সংস্কৃতিকে আমরা একবাক্যে অপসংস্কৃতি বলে আখ্যায়িত করে। থাকি। আসলে কথাটা সর্বাংশে ঠিক নয়। বিদেশের সবকিছুই আমাদের জন্যে অপসংস্কৃতি, তা নয়। তবে বিদেশের কোনাে কিছুকে গ্রহণ করার আগে দেখতে হবে তা আমাদের জীবনকে সুন্দর বা উন্নত করছে কিনা, আমাদের চেতনাকে উদার কিংবা মহান করছে কিনা। যা আমাদের জীবনবােধকে পরিশীলিত করে তা অপসংস্কৃতি নয়। কিন্তু আমরা যদি ডিসকো গান, নাচ, পাশ্চাত্য মডেলের পােশাকের মােহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি তা হলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই অপসংস্কৃতি হবে। সংস্কৃতি চর্চার বিভিন্ন দিক রয়েছে, মূল্যবােধের দৃষ্টিতে যারা সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে তাদের কাছেই তা হয়ে ওঠে প্রেম ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।