![]() |
ছবিঃ দীপু মনি (ইন্টারনেট) |
শতভাগ শিক্ষক শিগগিরই টিকার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ- ইরাবের এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই সব শিক্ষক টিকার আওতায় আসবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।
শিক্ষাব্যবস্থায় এত রকমের ভাগ, সেগুলোকে একটি জায়গায় নিয়ে আসা রাতারাতি সম্ভব নয়। সব বাতিল করে এক রকম করা শিগগিরই সম্ভব নয়। – দীপু মনি
সরকারি পর্যায়ের ‘শতভাগ শিক্ষকই’ টিকা নিয়েছেন বলে জানান তিনি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬জন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। দীপু মনি বলেন, “৪-৫ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষক টিকা নিয়ে নিবেন আশা করি।”
বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। দীপু মনি বলেন, জানিয়েছেন, টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭২ জন।
শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সম্পৃক্ত রাখতে অনলাইন ও টিভি ক্লাসের ব্যবস্থরা পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্ট চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় এসেছে। ব্যাপক হারে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার যে আশঙ্কাটি এসেছিল, অ্যাসাইনমেন্ট নিতে গিয়ে আমরা সেটি দেখছি না।
বর্তমান পরিস্থিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক চাপ ও ভীতির সৃষ্টি হচ্ছে। দীপু মনি বলেন, “সঠিক বেড়ে উঠবার, সৃজনশীল মানুষ হবার, প্রতিভা বিকশিত করার পরিবেশ ও সহযোগিতা বর্তমান ব্যবস্থায় অত বেশি নেই। সেই পরিবেশটা আমরা করতে চাই। যাতে তারা শিখবে, তা যেন প্রয়োগ করতে পারে। এখন যে সৃজনশীল ব্যবস্থা, তাতেও কতটা সৃজনশীলতা দিতে পারছি, ভাবাতে পারছি; সেটি নিয়েও আরও ভাবার প্রয়োজন রয়েছে
শিক্ষায় ঘাটতি থাকায় কর্মক্ষেত্রে সেই সৃজনশীলতা মিলছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা সেভাবে শেখাতে পারছি না।”তবে দেশের নানা রকমের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে হঠাৎ একমুখী করে ফেলা সম্ভব নয়, সে কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থায় এত রকমের ভাগ; সেগুলোকে একটি জায়গায় নিয়ে আসা রাতারাতি সম্ভব নয়। সব বাতিল করে এক রকম করা শিগগিরই সম্ভব নয়। তবে যে যে ধারায় থাকুক না কেন, মূল কোর সাবজেক্টগুলো যদি একই জিনিস পড়ে; তাহলে হয়ত সবাইকে একটি জায়গায় নিয়ে আসতে পারব।”
ইরাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম সুমনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, ইরাবের সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, সহ-সভাপতি নিজামুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।