অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। |
অফিস থেকে ফেরার পর অনেকেই রাতে দেরি করে খেতে বসেন। এর ফলে কোনো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে জানেন কি?
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। গড়ে ২৫ বছরের বেশি বয়সী একজন ব্যক্তি স্ট্রোকের শিকার হন। প্রতিদিনের কিছু খারাপ অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অলসতা, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপানের প্রবণতাও হৃদরোগের কিছু কারণ। এছাড়া অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে রাতের খাবার খাওয়ার সময় হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই জরুরি।
নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেরিতে রাতের খাবার খাওয়ার প্রবণতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খান, তাদের রাতের খাবারের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই এবং রাত ৮টার পর খাবার খান— এই তিন ধরনের জীবনযাপন যাঁদের, তাঁদের নিয়ে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, যারা রাতের খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় নেই তাদের স্ট্রোকে মারা যাওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়া যারা রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খেয়েছেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কম।
স্থূলতাও হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই আপনার ওজন বেশি হলে খাদ্যাভ্যাস ও খাওয়াদাওয়ার সময়ের দিকে বিশেষ নজর দিন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত ব্যায়াম করার জরুরি |
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, হেমোরেজিক স্ট্রোকের প্রধান কারণ হল উচ্চ রক্তচাপ। যা মস্তিষ্কের ধমনীকে দুর্বল করে দেয়। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তবে প্রথমেই জানতে হবে উচ্চ রক্তচাপের কারণ কী।
১) আপনার ওজন বেশি হলে।
২) অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান।
৩) নিয়ম অনুযায়ী ব্যায়াম না করা।
৪) মানসিক চাপ।
হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।