ই-মেইল অনুচ্ছেদ |
ই-মেইল অনুচ্ছেদ
ই-মেইল হলো ইলেকট্রনিক মেইল বা তড়িৎবার্তা। এটি যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। ১৯৭১ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী Shiva Ayyadurai তার বিহীন এ যোগাযোগ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তৎকালীন প্রচলিত অপরনেট প্রযুক্তিতে ই-মেইলের চাহিদা এতটা না থাকলেও ১৯৮৯ সালে ইন্টারনেট প্রযুক্তি চালুর পর থেকে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে। ই-মেইল আবিষ্কারের ফলে ডাকবিভাগের ওপর আমাদের নির্ভরতা অনেক কমেছে। সব শ্রেণির মানুষের জন্য এটি খুবই সহায়ক। এটির ব্যবহারও খুব সহজ এবং সস্তা। তা ছাড়া ই-মেইল ব্যবহারকারীরা তাদের সময় বাঁচাতে পারে। যদি একজন ব্যক্তির একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তবে সে ই-মেইল সংযোগ পেতে পারে। এটি অফিসে কাগজের ব্যবহারও হ্রাস করে। তাই ই-মেইল একই সাথে অর্থ এবং সময় বাঁচায়।
ই-মেইলের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সংবাদ প্রেরণ করা যেতে পারে। তাই আজকাল ব্যবসা–বাণিজ্য এই দ্রুততম যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ই-মেইলের মাধ্যমে যে কোনো টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্ট প্রভৃতি দ্রুততার সহিত পাঠানো যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিস্তার হওয়ায় ই-মেইল ব্যবহারের সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এ দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও ই-মেইল ব্যবহারের সুযোগ ভোগ করছে।
Marvelous