চোর দোষী বটে, কিন্তু কৃপণ-ধনী তদপেক্ষা শতগুণে দোষী
বিষয়ঃ ভাবসম্প্রসারণ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ SSC HSC JSC
মূলভাব
লােকসমাজে চুরি করা অশাত্ৰীয় কাজ। শাস্ত্রসম্মত না হলেই তা অধর্মীয় বলে গণ্য হয়। সে অর্থে চৌর্যবৃত্তি অধর্মীয় আচরণ বলে নিন্দনীয়।
সম্প্রসারিত ভাব
সামাজিক বিধিবিধান ও আদর্শের দিক থেকে চুরি করা অমার্জনীয় অপরাধ। কিন্তু চুরির যে মূল কারণ অভাব, প্রয়ােজনের অপ্রতুলতা, তার পরােক্ষ কারণ ধনীর অর্থ-কৃপণতা, অথচ সেজন্য কৃপণ-ধনীর শাস্তি হয় না। ওরকম ব্যয়কুণ্ঠ মানুষের শতগুণ শাস্তি হওয়াই বিধেয়।
সমাজে ধনবৈষম্যের ফলে মুষ্টিমেয় মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে শােষণ ও বঞ্চনা করে অর্থের পাহাড় বানায়। শােষণবঞ্চনায় নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে সংখ্যাধিক্য মানুষ দারিদ্রের প্রান্তসীমায় গিয়ে পৌছায়। তাদের নিত্যসঙ্গী হয় অভাব-অনটন, আর তারই তাড়নায় কেউ কেউ বাধ্য হয়ে চৌর্যবৃত্তির পথ বেছে নেয়।
সমাজে যতদিন ধনবৈষম্য থাকবে, ধনী-গরিবের দুস্তর ব্যবধান থাকবে, অসদুপায়ে অর্জিত অর্থ ধনী কৃপণতা করে সঞ্চয় করবে, ততদিন একদল অভাবী মানুষকে চৌর্যবৃত্তির দিকে ঠেলে দেওয়া হবে।
মন্তব্য
এজন্য চোরের স্বভাব-চরিত্র, হীন মানসিকতা যতটা না দায়ী, তার চেয়ে ঢের বিশি দায়ী কৃপণ ধনীর অর্থ-কৃজ্জ্বতা