ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা,
হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তোমার আদেশে। যেন রসনায় মম
সত্যবাক্য ঝলি উঠে খড়গ সম
তোমার ইঙ্গিতে। যেন রাখি তব মান
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণ সম দহে।
সারমর্মঃ যদিও ক্ষমা মনুষ্যত্বের পরিচায়ক এবং মহৎ গুন তবে বারবার ক্ষমা করা কিন্তু দুর্বলতারও পরিচয় বহন করে। আর এ সুযোগটাকে অপব্যবহার করে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ কারণে মাঝে মাঝে কঠোর রুপও ধারণ করতে হয়। অন্যায় করা আর অন্যায়কে সহ্য করা বা প্রশ্রয় দেওয়া— দু’টোই একই অপরাধের শামিল। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রতিটি মানুষেরই মানবিক দায়িত্ব।