অনেকেই বলতে শুনা যায়, অনেক দিন ধরে গ্রিন টি খাচ্ছি কিন্তু কোন ফল পাচ্ছি না। এর মূল কারণ হল সঠিকভাবে গ্রিন টি ব্যবহার না করা। তাই আমাদের জানা উচিত কীভাবে গ্রিন টি খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
অনেকেই ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি করেন। এই চা মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে দ্রুত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। এটি পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কাজ করে। কিন্তু গ্রিন টি কীভাবে খাওয়া উচিত এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন টি পান করা যেমন ঠিক নয়, তেমনি খালি পেটে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমানোর আগে গ্রিন টি পান করাও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই এই চা পান করার সময় ও নিয়ম মেনে চললেই ফল পাবেন। জেনে নিন এই চা পান করার সঠিক সময় কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে।
![]() |
গ্রিন টি কীভাবে খাওয়া উচিত এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই |
১) অনেকেই মনে করেন খাওয়ার পর পর গ্রিন টি খেলে শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি প্রবেশ করে তার অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। যদিও এই ধারণা মোটেও সঠিক নয়। খাদ্য উপাদান বিশেষ করে প্রোটিন হজম হতে শরীরের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় লাগে। সেই সময় শরীরকে দিতে হবে। গ্রিন টি এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। তাই খাওয়ার পরপরই এই চা না খাওয়াই ভালো।
২) সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে এই চা পান করলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে হজমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই সকালে হালকা কিছু খেয়ে এই চা খান।
৩) সকালে চা পান করার পর অনেকেই ওষুধ খান। গ্রিন টি খাওয়ার পর ভুলেও এমন কাজটি করবেন না। ওষুধের রাসায়নিক যৌগগুলি সবুজ চায়ের সাথে বিক্রিয়া করে বদহজম সৃষ্টি করে।
৪) অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করে গ্রিন টিতে চুমুক দিয়ে কোনো লাভ নেই। ধীরে ধীরে এই চা পান করলে মেটাবলিজম রেট বাড়বে।
৫) খুব গরম বা খুব ঠান্ডা চা পান করলে উপকার হয় না। পুষ্টিবিদরা এই চা পান করার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।