রেলস্টেশন অনুচ্ছেদ
রেলস্টেশন এমন একটি স্থান যেখানে ট্রেন থামে ও যেখান থেকে ট্রেন ছেড়ে যায়। যাত্রীরা সেখানে ট্রেনে ওঠে এবং ট্রেন থেকে নামে। যাত্রীদের জন্য এখানে একটি প্লাটফর্ম থাকে। বড় রেলস্টেশনগুলোতে প্লাটফর্মের ওপরে ছাউনি থাকে কিন্তু ছোট স্টেশনগুলো উন্মুক্ত থাকে। রেলস্টেশনে স্টেশন মাস্টারের অফিস, বুকিং–অফিস এবং পুরুষ ও মহিলাদের জন্য বিশ্রামাগার থাকে। সেখানে রেস্তোরাঁ, বইয়ের দোকান ও মণিহারী ও অনেক খাবারের দোকান থাকে। রেলস্টেশন সব সময় একটি জনাকীর্ণ স্থান। তেমন পরিষ্কার পরিছন্ন থাকে না বললেই চলে। আমাদের দেশের রেল যাত্রীদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে দেখা যায়। তবে বর্তমান সময়ে রেল ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন হওয়ার সুবাদে ঘরে বসে অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটা যায়। তারপরেও রেলস্টেশনে মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। সামনের দিকে যাওয়ার জন্য তারা একে অন্যকে ধাক্কা দেয়।
রেলস্টেশন । অনুচ্ছেদ । বাংলা ২য় |
যখন ট্রেন পৌঁছায় তখন রেলস্টেশন কোলাহলপূর্ণ হয়ে ওঠে কিন্তু যখন ট্রেন বাঁশি বাজিয়ে চলে যায় তখন এটি নির্জন ও শান্ত হয়ে পড়ে। পতাকাবাহী সিগনালম্যান লাল ও সবুজ পতাকা নিয়ে ঘোরাফেরা করে। হকাররা চিৎকার করে, বিক্রেতারা একস্থান থেকে অন্যস্থান যায়, কুলিরা এদিক–ওদিক হাঁটাহাঁটি করে এবং ভিক্ষুকরা ধর্মীয় সংগীত গেয়ে ভিক্ষা করে। ছিঁচকে চোরেরা সব সময় ওঁতপেতে থাকে কিছু বাড়তি আয়ের জন্য। এতে অনেক মানুষ তাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে।
আমাদের দেশে রেল ভ্রমন বেশ জনপ্রিয়। কারণ রেল ভ্রমনে খরচ অনেক কম। জনপ্রিয়তার দরুন রেলস্টেশন প্রয়শই কোলাহলপূর্ণ থাকে। বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষ তেমন আমলে নেন না। ফলে ঘটছে নানা ধরনের অপকর্ম এবং দুর্ঘটনা। তাই রেলস্টেশনের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিছন্নতার দিকটিও বিবেচনায় আনা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীরা রেলস্টেশনে গিয়েও টিকেট পান না। পেলেও স্বাভাবিক দামের থেকে বেশি দাম দিয়ে টিকেট কাটতে হচ্ছে। কিছু সংখ্যক লোক অবৈধভাবে অনেক টিকেট নিজের কাছে গচ্ছিত রেখে টিকেটের সংকট তৈরি করে। পরে চড়া দামে তা বিক্রি করে। যাদের রেল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের কাছে রেলস্টেশন পরিচিত একটি শব্দ। বাংলাদেশের রেলস্টেশনগুলোতে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সাধারণ গনগণের কাছে রেল ভ্রমন আজও অনেক জনপ্রিয়।