আজকে সম্পদ উপার্জন ও ব্যয় প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান নিয়ে আলোচনা করব। আমরা যারা প্রকৃত মুসলিম আছি তারা হালাল ও হারাম উভয়কে আমাদের দৈনন্দিন কাজেকর্মে মাথায় রাখি। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখি না। শুআবুল ঈমান ও মুসনাদে আহমদ এ একটি হাদিসে বলা হয়েছে-
যার শরীরের মাংস হারামের দ্বারা উৎপন্ন, সে জান্নাতে যাবে না, জাহান্নামের আগুনই তরা জন্য উপযুক্ত
সম্পদ উপার্জনের নীতিমালা
১. সম্পদ হালাল ও পবিত্র হতে হবে ।
২. হারাম, মাকরূহ ও সন্দেহপূর্ণ (অর্থাৎ, যেখানে জায়েয বা নাজায়েয হওয়ার কোনাে দিক স্পষ্ট নয়- এরূপ) পন্থায় সম্পদ উপার্জন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. সম্পদ উপার্জনের কাজে লিপ্ত হয়ে কোনাে ফরয বা ওয়াজিব বা সুন্নাত কাজে কোনাে বিঘ্ন ঘটতে যেন না পারে। ৪. সম্পদ উপার্জন করতে হবে সম্পদের মােহ বা ভােগ বিলাসিতার উদ্দেশ্যে নয় বরং নিজের দায়িত্ব পালন ও ছওয়াব অর্জনের কাজে ব্যয় করার নিয়তে । তাহলে এটা ইবাদত বলে গণ্য হবে।
২. হারাম, মাকরূহ ও সন্দেহপূর্ণ (অর্থাৎ, যেখানে জায়েয বা নাজায়েয হওয়ার কোনাে দিক স্পষ্ট নয়- এরূপ) পন্থায় সম্পদ উপার্জন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. সম্পদ উপার্জনের কাজে লিপ্ত হয়ে কোনাে ফরয বা ওয়াজিব বা সুন্নাত কাজে কোনাে বিঘ্ন ঘটতে যেন না পারে। ৪. সম্পদ উপার্জন করতে হবে সম্পদের মােহ বা ভােগ বিলাসিতার উদ্দেশ্যে নয় বরং নিজের দায়িত্ব পালন ও ছওয়াব অর্জনের কাজে ব্যয় করার নিয়তে । তাহলে এটা ইবাদত বলে গণ্য হবে।
সম্পদ ব্যয়ের নীতিমালা
১. সম্পদের উপর শরীআত যেসব দায়িত্ব অর্পন করেছে, সম্পূর্ণ ইখলাসের সাথে তা আদায় করা। যেমন: যাকাত, ফেতরা, কুরবানী, হজ্জ ইত্যাদি ।
২. নিজের এবং নিজের পরিবারের ভরণ-পােষণ ও অন্যান্য হক আদায়ের কাজে ব্যয় করা।
৩. আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, মেহমান, মুসাফির, এতীম-মিসকীন, বিধবা প্রভৃতি শ্রেণীর লােকদের প্রয়ােজন সাধ্যানুযায়ী পূরণ করা।
৪. অপব্যয় না করা অর্থাৎ, যেসব স্থানে শরীআত ব্যয় করতে নিষেধ করেছে সেখানে ব্যয় না করা। অপব্যয় করা হারাম। ৫. অমিতব্যয় না করা অর্থাৎ, বৈধ স্থানেও প্রয়ােজনের অতিরিক্ত ব্যয় না | করা। বৈধ স্থানেও প্রয়ােজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা শরীআতে নিষিদ্ধ।
৬. কার্পণ্য না করা অর্থাৎ, বৈধ স্থানে ও প্রয়ােজনের স্থানে মােটেই ব্যয় না করা বা প্রয়ােজন অনুপাতে ব্যয় না করা বরং কমী করা। এটাকে কার্পণ্য বলা হয়। এটা নিন্দনীয়।
৭. ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমও নয় বেশিও নয় বরং মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা জরুরি।
৮. দ্বীন ইসলামের হেফাজত এবং দাওয়াত, তাবলীগ ও ধর্ম প্রচারের কাজে আন্তরিকভাবে উদার মনে ব্যয় করা ।
৯. নফল ও ছওয়াবের কাজে প্রয়ােজনের অতিরিক্ত সম্পূর্ণ সম্পদ ব্যয় করে দেয়ার ক্ষেত্রে নীতি হল- যিনি এরকম মজবুত ঈমান ও মজবুত অন্তরের অধিকারী যে, সম্পদ একেবারে না থাকলেও তিনি হা-হুতাশ করবেন না বা হারাম পথে ধাবিত হবেন না, তার জন্য এভাবে প্রয়ােজনের অতিরিক্ত সম্পূর্ণ সম্পদ ব্যয় করে দেয়ার অনুমতি রয়েছে বরং তা উত্তম। আর যার ঈমান ও অন্তর এরকম মজবুত নয়, তার জন্য সম্পূর্ণ সম্পদ এভাবে ব্যয় করার অনুমতি নেই। কেননা, এভাবে পরে তার ঈমান হারা হওয়ার
সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
১০.সাধারণ অবস্থায় আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি করা অনুচিত।
আল্লাহপাক আমাদের উক্ত নীতিমালা মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন