
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভাষণঃ ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসকে ঘিরে অনেক আলোচনা সভা ভাষণ অনুষ্ঠিত হয়। আজকে ২৬শে মার্চ নিয়ে একটি সুন্দর ভাষণ নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভাষণ ৫০০ শব্দে
মাননীয় সভাপতি ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ,
আজ ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। প্রত্যেক জাতির জীবনে বিশেষ কতকগুলো দিন থাকে যার মর্যাদা ও গুরুত্ব অত্যধিক। জাতির অগ্রগতি ও চেতনার পেছনে এসব কাজ করে। স্বাধীনতা দিবস তেমনি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
স্বাধীনতা দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। যে জাতি পরাধীন সে জাতির কোন গৌরব নেই। স্বাধীনতা জাতিকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন করে তোলে। তাই জাতির জীবনে স্বাধীনতার সীমাহীন গুরুত্ব রয়েছে। যে দিবসটিতে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল সে দিবসকেই স্মরণ করে জাতীয় জীবনে তার প্রেরণা অনুভব করা হয়ে থাকে।
আমাদের জাতীয় জীবনেও স্বাধীনতা দিবসের অবদান ও গুরুত্ব বিদ্যমান রয়েছে। এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এর জন্য বহু ত্যাগ আমাদের স্বীকার করতে হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল বলে এই দিনই আমাদের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
সেই মহান দিনের কথা স্মরণ করেই প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের সীমাহীন তাৎপর্য অনুসরণ করে থাকে। পরাধীনতা আর শোষণের যাতনা থেকে আমরা এই দিনে মুক্তি পেয়েছিলাম। স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালির সংগ্রাম এ দিনে শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতা দিবসে তাই আমাদের মর্যাদা নতুন করে উপলব্ধি করার সময়। নিজেদের চেনার সুযোগ নিয়ে আসে এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনটি।
জাতীয় জীবনের কর্তব্য সম্পর্কেও এই দিনে সচেতন হওয়া যায়। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা রক্ষা করতে হলে তার জন্য উপযুক্তভাবে আমাদের তৈরি হতে হবে। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা অনেক কঠিন। তাই নিজেদের সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে গড়ে উঠার মাধ্যমে সংগ্রামের সাফল্য নির্ভর করে। সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে উঠার জন্য স্বাধীনতা দিবস আমাদের কর্তব্য-সচেতন করে স্বাধীনতা দিবস আমাদের গৌরবের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। নতুন করে শপথ নেবার সুযোগ আনে এ স্বাধীনতা দিবস।