তারাবি নামাযের মাসায়েল সম্পর্কে জেনে নিন

তারাবি নামাযের মাসায়েলঃ আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই ভালো আছেন। ২৩ মার্চ ২০২৩ থেকে শুরু হচ্ছে তারাবির নামায। অনেকেই তারাবি নামাযের মাসায়েল নিয়ে জানতে চেয়েছেন। আজকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
তারাবি নামায কি?
রমযান মাসে ইশার নামাযের পর ইশার ওয়াক্তের মধ্যে যে বিশ রাকআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়তে হয়, তাকে তারাবির নামায বলে। তারাবির নামায সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। বিশ রাকআত তারাবির নামায পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা- আট রাকআত নয়। তারাবির নামায জামাআতের সাথে পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া।
[box type=”note” align=”” class=”” width=””]আরও পড়ুনঃ রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | রোজার নিয়ত করার নিয়ম [/box]
তারাবি নামাযের মাসায়েল
[tie_list type=”lightbulb”]
- তারাবির নামায সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ।
- বিশ রাকআত তারাবির পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, আট রাকআত নয় ।
- তারাবির নামায জামাআতের সাথে পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া ।
- প্রতি চার রাকআত তারাবির পর এবং বিশ রাকআতের পর বিতরের পূর্বে চার রাকআত পরিমাণ বিশ্রাম করা মোস্তাহাব । জামাআতের লোকদের কষ্ট হওয়ার বা জামাআতের লোকসংখ্যা কম হওয়ার আশংকা হলে এত সময় বিশ্রাম করবে না বরং কম করবে।
[box type=”note” align=”” class=”” width=””]আরও পড়ুনঃ তারাবির নামায পড়ার নিয়ম । তারাবি নামাযের দোয়া ও মোনাজাত[/box] - এই বিশ্রামের সময় চুপ করে বসে থাকা, তাসবীহ, তাহলীল, তিলাওয়াত, দুরূদ পড়া বা নফল নামায পড়া সবই জায়েয । আমাদের দেশে যে সুবহানা যিল মুল্কি ওয়াল মালাকূতি … তিনবার পড়ার প্রচলন আছে তাও জায়েয, তবে তা-ই পড়া জরুরি নয় বরং এই দুআ কোনো হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয় । এর চেয়ে ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াললাহু আকবর’ বারবার পড়তে থাকা উত্তম । এবং এসব দুআ চিৎকার করে নয় বরং নীরবে (কিংবা স্বল্প শব্দে) পড়া উত্তম ।
- প্রত্যেক চতুর্থ রাকআতে মুনাজাত করা জায়েয আছে কিন্তু বিশ রাকআতের পর বিতরের পূর্বে দুআ করাই অপেক্ষাকৃত ভালো।
- তারাবির মধ্যে খতমের সময় সূরা এখলাস তিনবার পড়া মাকরূহ। (অর্থাৎ, শরীআতের বিশেষ নিয়ম মনে করে এরূপ আমল করা মাকরূহ।)
- তারাবির বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়া নেয়া জায়েয নয়, তবে হাফেজ সাহেবের যাতায়াত ভাড়া ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা বিধেয়।
[/tie_list]
তারাবি নামাযের দোয়া
তারাবির নামায যেহেতু ২০ রাকাত তাই প্রতি চার রাকআত তারাবি নামাযের পর একটু বিশ্রাম নেওয়া হয়। তখন একটি বিশেষ দোয়া পড়া হয়। এই দোয়াটি আমাদের দেশে সুবহানাযিল মুল্কি ওয়াল মালাকূতি… নামে পরিচিত।
তারাবির নামাজের চার রাকাত পরপর দোয়া
তারাবির নামাযে প্রতি চার রাকাত পর পর যে দোয়াটি পড়তে হয় তা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ দেওয়া হলঃ
উচ্চারণ: সুব্হানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুব্হানাযিল ইয্যাতি, ওয়াল আয্মাতি, ওয়াল হাইবাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়াই, ওয়াল যাবারুত। সুব্হানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা-ইয়াানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।
তারাবির নামাজের মোনাজাত
মোনাজাত অর্থ হল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। মোনাজাত করাও একটি ইবাদাত। যে বেক্তি আল্লাহ্র কাছে চায় না, আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন। রমজান মাস যেহেতু ক্ষমা পাওয়ার মাস, সুতরাং এই মাসে বেশি বেশি মোনাজাত করা উচিত।
[box type=”note” align=”” class=”” width=””] আরও পড়ুনঃ দোয়া কবুলের ২০ টি উত্তম সময় [/box]
আমাদের দেশে তারাবির নামাযের জন্য একটি প্রসিদ্ধ ও প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে।
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিক্বাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহমাতিকা ইয়া আঝিঝু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া ঝাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার্রু। আল্লাহুম্মা আঝিরনা মিনান নার। ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝিরু, ইয়া মুঝির। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।