
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পাদ্রী ফাদার হেইগি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফাদার হেইগি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে বেশ জোরালো আলোচনা চলছে। ইসলাম গ্রহণের পর এই পাদ্রী নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন আব্দুল্লাহ লতিফ।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ফাদার ফাদার হেইগির ইসলাম বিষয়ে আগ্রহ অনেক পুরনো। প্রায় ২০ বছর আগে একই সঙ্গে মুসলমান এবং খ্রিস্টান হিসেবে পাদ্রীর দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে আগ্রহ পোষণ করেছিলেন। তবে তখন ইসলাম গ্রহণ করেন নি।
সম্প্রতি এক ব্লগ পোষ্টে নিজের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়টিকে তিনি আবারও ইসলামের ফিরে আসার অনুভূতি সঙ্গে তুলনা করে বলেন, আমার ইসলাম গ্রহণ মূলত আবারও ইসলামের ফিরে আসার মত অনেকটা যেন আমি আবার নিজ বাড়িতে ফিরে এলাম।
২০০৩ সালে ফাদার হিলারিয়ান হেইগি অ্যান্টিওকিয়ান অর্থোডক্স চার্চের আনুগত্য গ্রহণ করেন। পরে ২০১৭ সালে পূর্ব ক্যাথলিক চার্চে যোগদান করেন। তার আগে উইসকনসিনের সেন্ট নাজানিয়ানের হোলি রিজারেকশন মানাস্টেরি থেকে বাইজেন্টাইন ক্যাথলিক যাজক-সন্ন্যাসী হওয়ার বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
পবিত্র কুরআনের আয়াত অবলম্বনে হেইগি তার ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, ‘যেহেতু আমরা জন্মের আগে একমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করতাম এবং তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করতাম; তাই এটি সত্যিই আমার কাছে বাড়ি ফেরার মতো।’
মুসলিম সম্প্রদায় তাকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছে উল্লেখ করে হেইগি ওরফে আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায় আমাকে ব্যক্তিগত এবং অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই অবিশ্বাস্য উষ্ণতা এবং আতিথেয়তা দেখিয়েছে। এমন আতিথেয়তা আমি আগে কখনোই দেখিনি।’