![]() |
ফুলতলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চাই |
তােমার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়ােজন উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি আবেদনপত্র রচনা কর।
বিভাগ প্রতিবেদন
তারিখ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ
বরাবর
সম্পাদক,
দৈনিক জনকণ্ঠ
১৪/এ নিউ ইস্কাটন রােড
ঢাকা।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ও জননন্দিত ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে নিম্নোক্ত সংবাদটি প্রকাশপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে সহায়তা করার জন্য বিনীত অনুরােধ জানাচ্ছি। আশাকরি, এলাকার সমস্যাভিত্তিক চিঠিটি প্রকাশে আমরা আপনার আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হব না।
বিনীত
‘খ’
ফুলতলা, গফরগাঁও
ময়মনসিংহ।
ফুলতলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চাই
আমরা ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামটি ইউনিয়নের মূলকেন্দ্র। এ গ্রামে প্রায় ৫০% লােক শিক্ষিত। এদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী। এ গ্রামে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মহাবিদ্যালয়, বয়স্কদের জন্য একটি নৈশ বিদ্যালয় ও একটি ব্যাংক রয়েছে। এ গ্রামে একটি বাজার আছে। যা গ্রামবাসীর নিত্যদিনের প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের জোগান দিয়ে থাকে। উক্ত বাজারে বেচাকেনার জন্য শতশত লােকের সমাগম ঘটে। গ্রামবাসী সাধারণত কৃষিনির্ভর। কৃষির উন্নয়নের জন্য ২টি গভীর ও ১০টি অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ধান, গম, ভুট্টাসহ কৃষিপণ্য মাড়াই করার জন্য পাঁচটি চালের কল রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযােগ না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে এবং চালের কলগুলাে তেল দিয়ে চালাতে গিয়ে কৃষকগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চোর-ডাকাতের উপদ্রব দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়ােজন অনস্বীকার্য। মাত্র ১ কিলােমিটার দূরে পাশের গ্রামে বিদ্যুতের সংযােগ থাকায় এ গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বিশেষ কোন অসুবিধার সৃষ্টি হবে না। এ অবস্থায় আমাদের গ্রামবাসীর আকুল আবেদন, আমরা যে অন্ধকারের কালনাগিনীর থাবায় নিমজ্জিত আছি, বিদ্যুৎ সংযােগের মাধ্যমে তা থেকে আমরা মুক্তি পাব। এ ব্যাপারে অতি অল্প সময়ে প্রয়ােজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ফুলতলা গ্রামবাসীর পক্ষে-
‘খ’
ফুলতলা, গফরগাঁও
ময়মনসিংহ।