ঈশার নামাযের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত যে নফল নামায পড়া হয় তাকে ‘সালাতুল লাইল’ বা ‘তাহাজ্জুদের নামায’ বলা হয়। নফল নামাযের মধ্যে এই প্রকার নফল অর্থাৎ, তাহাজ্জুদের ফযীলত সবচেয়ে অধিক।
তাহাজ্জুদের নামায এর সময় কখন?
ঈশার নামাযের পর থেকে সুবহে সদিকের পুর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সময়। তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামায পড়া উত্তম।
তাহাজ্জুদের নামায কত রাকআত?
তাহাজ্জুদের নামায ২ থেকে ১২ রাকআত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণত ৮ রাকআত পড়তেন বিধায় এটাকেই উত্তম বলা হয়েছে। পারলে ৮ রাকআত নতুবা ৪ রাকআত আর তা-ও হিম্মত না হলে ২ রাকআত হলেও পড়বে।
তাহাজ্জুদের নামায কী কাযা আদায় করা যাবে?
তাহাজ্জুদের নামাযের কাযা নেই, তবে রাতে পড়তে না পারলে পরের দিন দুপুরের পূর্বে অনুরূপ পরিমাণ নফল পড়ে নেয়া উত্তম।
তাহাজ্জুদের নামাযে কী নির্দিষ্ট কোন সূরা পড়তে হবে?
না। তাহাজ্জুদের নামায যে কোন সূরা দিয়ে পাঠ করা যায়, তবে কিরাত লম্বা হওয়া উত্তম।
তাহাজ্জুদের নামায – এর নিয়ত?
দুই রাকআত তাহাজ্জুদের নিয়ত এভাবে করা যায়ঃ
বাংলায়: দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি।