ইসলাম ও জীবন

তাহাজ্জুদের নামায কত রাকআত এবং পড়ার নিয়ম

Daraz cupon Code

ঈশার নামাযের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত যে নফল নামায পড়া হয় তাকে ‘সালাতুল লাইল’ বা ‘তাহাজ্জুদের নামায’ বলা হয়। নফল নামাযের মধ্যে এই প্রকার নফল অর্থাৎ, তাহাজ্জুদের ফযীলত সবচেয়ে অধিক।

তাহাজ্জুদের নামায কত রাকআত এবং পড়ার নিয়ম

তাহাজ্জুদের নামায এর সময় কখন?
ঈশার নামাযের পর থেকে সুবহে সদিকের পুর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের সময়। তবে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামায পড়া উত্তম।

তাহাজ্জুদের নামায কত রাকআত?
তাহাজ্জুদের নামায ২ থেকে ১২ রাকআত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণত ৮ রাকআত পড়তেন বিধায় এটাকেই উত্তম বলা হয়েছে। পারলে ৮ রাকআত নতুবা ৪ রাকআত আর তা-ও হিম্মত না হলে ২ রাকআত হলেও পড়বে।

তাহাজ্জুদের নামায কী কাযা আদায় করা যাবে?
তাহাজ্জুদের নামাযের কাযা নেই, তবে রাতে পড়তে না পারলে পরের দিন দুপুরের পূর্বে অনুরূপ পরিমাণ নফল পড়ে নেয়া উত্তম।

তাহাজ্জুদের নামাযে কী নির্দিষ্ট কোন সূরা পড়তে হবে?
না। তাহাজ্জুদের নামায যে কোন সূরা দিয়ে পাঠ করা যায়, তবে কিরাত লম্বা হওয়া উত্তম।

তাহাজ্জুদের নামায – এর নিয়ত?
দুই রাকআত তাহাজ্জুদের নিয়ত এভাবে করা যায়ঃ

বাংলায়: দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি।

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

Uncategorized

‘তমদ্দুন মজলিস’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

Daraz cupon Code

 ‘তমদ্দুন মজলিস’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ তমদ্দুন মজলিস  আবুল কাসেম প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৪৭ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার পুরো নাম প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আবুল কাসেম। তিনি বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্থপতি এবং তমদ্দুন মজলিস ও বাঙলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে। 

সম্পর্কিত টপিক

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

Uncategorized

একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন

Daraz cupon Code

 

একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন
একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন

মনে কর, তােমার নাম জিতু। তুমি একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখ।

সম্পর্কিত টপিক

বিশাখাগাছায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা

জিতু, বিশাখাগাছা, চাঁদপুর।

গত ২২ মার্চ দুপুর বারােটায় চাঁদপুর শহর থেকে সাত কিলােমিটার উত্তরে বিশাখাগাছা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে ধাক্কা খায় এবং পাশের খাদে পড়ে যায়। আহতদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঘন কুয়াশার ভেতর দ্রুতগতিতে বাস চলার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রচণ্ড শব্দ ও চিঙ্কার শুনে স্থানীয় লােকজন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলেই চারজনের লাশ দেখে স্থানীয় জনগণ শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বাসের যাত্রীদের ৩৫ জনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিশাখাগাছা থেকে মুঠোফোনে খবর পেয়ে উপজেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলাের দায়িত্ব নেয়। আহত এক যাত্রী জানান, যদিও নিয়মানুসারে বাসটির যত্রতত্র থামা উচিত নয়, তবু অতিরিক্ত আয়ের লােভে তারা সব স্টপেজ থেকে যাত্রী উঠিয়েছে ও নামিয়েছে। এর ফলে যাত্রাবিলম্ব ঘটেছে। আর সিন্ডিকেটের নির্ধারিত সময়সীমা লঙ্ঘিত হলে জরিমানা দিতে হয়। পথে সময়ক্ষেপণ করে পরবর্তী সময়ে দ্রুত চালিয়ে সে সময়টুকু বাঁচাতে গিয়েই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের ধারণক্ষমতা ২৮ জন যাত্রী, কিন্তু আহত ও নিহতের সংখ্যা যােগ করলে হয় ৩৯ জন যাত্রী। অর্থাৎ অতিরিক্ত যাত্রীবহন ছিল এ দুর্ঘটনার মূল কারণ। 

স্থানীয় জনগণের আন্তরিক সহযােগিতা প্রমাণ করেছে মানবতার মৃত্যু নেই। যাঁর যতটুকু সামর্থ্য, তারা তা করার করেছে। তবে এর মাঝেও হাতঘড়ি, গলার হার, আংটিসহ নানান জিনিসপত্র খােয়া গেছে বলে জানা যায়। আলাের পাশে অন্ধকার থাকবেই। তবু এ জাতীয় মানুষ নামধারী জীবের প্রতি ঘৃণা পােষণ করতেও কুণ্ঠা জাগে। জমাটবাঁধা রক্ত, দুমড়ানােমােচড়ানাে বাস- সবকিছু মিলিয়ে এক ভয়ংকর দৃশ্য! 

সম্পর্কিত টপিক

মন্তব্য করুন

Back to top button